ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের বাতিঘর
জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত উপমহাদেশের প্রথম বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনের অগ্রগামী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সবুজবীথি এই ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের প্রাণ ও বাতিঘর।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা কলেজের শহিদ আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস- ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তির প্রথম মেধাতালিকা ১ নভেম্বর
শেখ রাসেলকে হত্যা করার মাধ্যমে ঘাতকরা ইতিহাসের ঘৃণ্যতম কাজ করেছেন উল্লেখ করে হুইপ মাহমুদ স্বপন বলেন, ছোট রাসেল কোনভাবেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তারপরও তাঁকে পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু পরিবার যখন গৃহবন্দী ছিল তখনও তাঁর বাড়ির দিকে কেউ গুলি ছোড়ার সাহস করেনি। কিন্তু স্বাধীনতার পর ঘাতকরা সেই সাহস দেখিয়েছে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকের গুলিতে শহীদ হওয়ার আগে জেনেছেন তাঁর পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শেখ রাসেল ও তাঁর স্ত্রীকেও যে হত্যা করা হয়েছে তা দেখেননি। কিন্তু শেখ রাসেল দেখেছেন তাঁর সামনেই পরিবারের সব স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। এত ছোট শিশুর কাছে এটি কত বড় রক্তক্ষরণ তা বলে বোঝানো যাবে না।
তিনি বলেন, শেখ রাসেল যখন বলেছে আমি মায়ের কাছে যাবো তখনও নির্মম ঘাতকদের মন গলেনি। উপহাস করে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে দোতলায় নেওয়ার সময় তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছে আয় তোকে তোর মায়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। মায়ের মৃতদেহের সামনেই তাঁকে দাঁড় করিয়ে মাথায় রাইফেল তাক করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরচেয়ে নির্মমতা আর কি হতে পারে।
এসময় সকল অপশক্তির বাঁধা পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে অংশীজন হওয়ার জন্য শিক্ষক ও নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী আহ্বানও জানান তিনি।
আলোচনা সভায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম ও জনাব গোলাম রব্বানী চিনু। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, শেখ রাসেল দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পুরঞ্জয় বিশ্বাস সহ অন্যান্য শিক্ষকরা।