যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেলেন কুবির উর্মি
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিখ্যাত ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)’ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী আফরোজা শারমিন উর্মি। তিনি স্কলারশিপ পেয়ে ওয়ান লিগ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘মাইক্রো মাষ্টার ইন স্ট্যটিস্টিক্স এন্ড ডাটা সাইন্স’ বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আফরোজা শারমিন উর্মি ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগে ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতক পর্যায়ে ৩ দশমিক ৭৪ পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
স্কলারশিপ অর্জনের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করে উর্মি জানান, ‘আমেরিকার ওয়ান লিগ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এমআইটিতে ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ পেয়েছি। আমি বাংলাদেশে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে এই কোর্সটি সম্পন্ন করতে পারবো। আমার এই ডিগ্রী অর্জনে ২০ হাজার ইউএস ডলার অর্থায়ন করবে ওয়ান লিগ ফাউন্ডেশন।’
আরও পড়ুন: সফটওয়্যার ব্যবহার হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায়
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্কলারশিপ আমার জন্য ভাগ্যের। আমার জীবনের স্বপ্ন ছিল এমন একটি অর্জন। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’
কোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি শুরু হয়েছে এ বছরের আগস্ট থেকে এবং শেষ হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে।’
উর্মির সাফল্য সম্পর্কে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রধান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি শিক্ষকের স্বপ্ন থাকে তার শিক্ষার্থীরা দেশে বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে। আমাদের শিক্ষার্থী বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে এটা আমি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য গর্বের।’
উর্মি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও সেলিনা পারভীনের বড় সন্তান। তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড় তিনি। কৃতিত্বের সাথে তিনি কিশোরগঞ্জ ভাগলপুর আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ৪ দশমিক ৬৮ এবং একই প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। বর্তমানে তিনি পড়াশোনা পাশাপাশি ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানিতে জুনিয়র মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আব্দুল মঈন বলেন, ‘এমন অর্জনগুলো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীরা এই অর্জন দেখে উৎসাহিত হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পরেই বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং মানোন্নয়নে সোচ্চার থাকব। সে অনুযায়ী কাজ করছি৷ আশা করছি আমাদের অর্জনের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’