শরৎ উৎসবে মেতেছেন বেরোবি শিক্ষার্থীরা
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শরৎ উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েস আয়োজন করে এ উৎসবের। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আপেল মাহমুদ, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাজেদুল হক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা। সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শরৎকালকে বরণ করে নেওয়া হয়।
উৎসবে ছিল বিভিন্ন আয়োজন। হাতে বানানো দেশীয় পিঠাপুলি স্টল, নারী উদ্যোক্তার কাপড়ের স্টল, মেহেদি স্টল, দুর্লভ প্রজাতির গাছের স্টল, দর্শকদের জন্য লাভ কর্নার ও বিরহ কর্নার। এছাড়াও ছিল নানারকম দেশীয় খেলার আয়োজন।
আরও পড়ুনঃ সাত কলেজের সাবজেক্ট চয়েসের তালিকা প্রকাশ
শিক্ষার্থী আরিফ আরমান বলেন, 'ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরে, সুন্দর আয়োজন দেখে অনেক ভালো লেগেছে। নানান ধরনের পিঠা রয়েছে। আমি পাটিসাপটা পিঠা খেয়েছি স্বাদ হয়েছে অসাধারণ। অনুষ্ঠানটিও ভালো লেগেছে।'
শরৎ উৎসবে 'বেলুন ফাটানো' খেলায় অংশ নেওয়া মাহফুজা বলেন, 'গ্রীন ভয়েস কর্তৃক আয়োজিত বিশেষ খেলা বেলুন ফাটানো খেলায় অংশ নিয়ে ১ম হয়েছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। আজকের আয়োজনটা অনেক প্রাণবন্ত ছিল।'
অনুষ্ঠানে ঘুরতে আসা জিহাদ ইসলাম বলেন, 'আজকের অনুষ্ঠানটি ছিল মনোমুগ্ধকর ও ব্যতিক্রমী। অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে এমন একটি উৎসব হচ্ছে। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য যেমন রয়েছে লাভ ও বিরহ কর্নার। তেমনি রয়েছে পরিবেশবাদী গাছের স্টল। আয়োজনটা অনেক গোছালো মনে হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।'
গ্রীন ভয়েস বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক লিমন ইসলাম বলেন, 'আমরা আজকের শরৎ উৎসবে বাঙালির ঐতিহ্যকে সকলের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা শরতের আবহমান শুভ্রতা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা গ্রীন ভয়েসের সদস্যরা পরিবেশ নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই আয়োজন।'
শরতের সতেজতায় মুগ্ধ হয়ে গ্রীন ভয়েস বেরোবি শাখার সভাপতি স্বপন মাহমুদ বলেন,
'অসীম নীলে মাতাল অনিলে
মেঘের তুলো ভাসে!
সবুজ দিগন্ত বন বনান্ত
প্রাণ খুলে হাসে!
তিনি আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বরাবরই শুদ্ধ সামাজিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও সরব, তারই বাস্তবতা আমাদের আজকের শরৎ উৎসব। শরৎ আমাদের মাঝে যে শুভ্রতার শুদ্ধতা নিয়ে আবির্ভূত হয় সেটি ছড়িয়ে যাক আমাদের ব্যক্তিজীবনে। সকলের মাঝে সংস্কৃতির এই শুভ্রতা ছড়িয়ে যাক, বাঙ্গালী সংস্কৃতি সবার মননে থেকে যাক।'