মাইক্রোবাস চালককে দিয়ে বাস চালাতে চায় কুবি!
সড়ক পরিবহন আইনের তোয়াক্কা না করে মাইক্রোবাস চালক দিয়ে বাস চালাতে চাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা তৈরী হতে পারে। এমনটা ঘটলে বাসে পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জিবনের ঝুঁকি তৈরী হবে। চালকের অভিযোগ আইন অমান্য করে ভারী গাড়ি চালাতে তাকে বাধ্য করছে কুবি প্রশাসন।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর দ্বিতীয় অধ্যায়ের (ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, ইত্যাদি) ৪ (২) বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যে শ্রেণী বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালনার লাইসেন্স প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই শ্রেণী বা ক্যাটাগরি ব্যতীত অন্য কোন শ্রেণী বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালাইতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী কোনো ব্যক্তি হালকা ও মধ্যম শ্রেণি বা ক্যাটাগরির মোটরযান চালাইতে পারিবেন।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের আর রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে যেতে হবে না’—ঢাবির বিজ্ঞপ্তি
কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাস চালকে আহাম্মদ আলীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে উপর্যুক্ত সড়ক পরিবহন আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভারী গাড়ি চালাতে এই চালককে বাধ্য করা হচ্ছে । তবে ভারী গাড়ি চালাতে অপরাগতা প্রকাশ করে রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছে ভুক্তভোগী চালক। তার দাবি আইন অমান্য করে ভারী গাড়ি চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে তাকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মাইক্রোবাস চালক আহাম্মদ আলীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর হালকা গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। নিয়োগের পর থেকে হালকা গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এখন তাকেঁ হালকা গাড়ির লাইসেন্স দিয়েই ভারী গাড়ি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা আইনসঙ্গত নয় এবং দুর্ঘটনারও ঝুকিঁ থাকে বলে উল্লেখ করেন তিনি। চিঠিতে তিনি ভারী গাড়ি চালাতে অপরাগত প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চালক আহাম্মদ আলী বলেন, এখানে আমি হালকা গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি কিন্তু এখন আমাকে বলা হচ্ছে বাস চালাতে। আমি কোনদিন বাসের ড্রাইভিং সিটেও বসি নাই। আমার লাইসেন্সও হালকা গাড়ির। এখন আমাকে জোরপূর্বক ভারী গাড়ি চালাতে বলতেছে। আমি পরবিহণ উপদেষ্টা স্বপন স্যারকে বলছি তিনি বলেন আমাকে ভারী গাড়িই চালাতে হবে। কিসে নিয়োগ পেয়েছি সেটা বিষয় না। এখন আমি ভারী গাড়ি চালাতে পারব না।
এবিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলব।
আইনের ব্যতয় করে হালকা গাড়ি চালক কে কেন ভারী গাড়ি চালাতে বাধ্য করা হচ্ছে জানতে পরিবহন প্রশাসক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ, এ বিষয়ে পরিবহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদের সাথে কথা বল।
পরিবহণ পুলের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি শুনেছি একজন চালক ভারী গাড়িতে চালাতে অপারগতা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসকের সাথে কথা বলে দেখব।