ইবির ‘টিচার্স ইনডেক্স’ মোবাইল অ্যাপ অকেজো
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের জন্য ডায়েরির আদলে তৈরি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি টিচার্স ইনডেক্স’ মোবাইল অ্যাপটি প্রায় পাঁচ মাস ধরে অকেজো হয়ে আছে। অ্যাপটি চালু করতেই মোবাইল ফোন হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। আগে অ্যাপটি ব্যবহার করে যেকোনো দফতরের নাম্বার নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে এটি চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের সাথে সহজে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেয় শিক্ষক সমিতি। অ্যাপটিতে বিভিন্ন দফতর, অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল ক্যাটাগরিতে কর্মরতদের তথ্য যুক্ত করা হয়। গত ২২ নভেম্বর অ্যাপটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। উদ্বোধনের প্রায় ১৫ দিন পর অ্যাপটি ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি টিচার্স ইনডেক্স’ নামে গুগল প্লে-স্টোরে চালু করা হয়।
অ্যাপটি চালুর পর মাঝেমধ্যে অকার্যকর হলেও সাত মাসের মধ্যে একেবারে অকেজো হয়ে যায়। আপডেট না দেওয়ায় অ্যাপটি কাজ করছে না। ফান্ডিংয়ের অভাবে আপডেট সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অ্যাপটির নির্মাতা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল ইসলাম রাসেল।
আরও পড়ুন: বিসিএস ছাড়া সব সরকারি চাকরিতে বয়সে ছাড়
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে অ্যাপটি ইন্টারনেট ব্যবহার করে চালু হলেও পরবর্তীতে অফলাইনেও ব্যবহার করা যাবে জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অনলাইনেও অ্যাপটিতে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপটি আপলোড করার শুরুর দিকে ‘ফাইভ স্টার’ রিভিউ আসলে বর্তমানে তা তিন দশমিক আটে নেমে এসেছে। অ্যাপটি তৈরির পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শুরু করে, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থী সকলে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এখন তারাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবুজ হোসেন বলেন, যেকোনো অফিসের ব্যক্তিদের সঙ্গে অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই যোগাযোগ করা যেত। ডায়েরি নিয়ে ঘোরা লাগত না। কিন্তু এটি কাজ না করায় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
অ্যাপটির প্রস্ততকারক রকিবুল ইসলাম রাসেল বলেন, নিয়মিত আপডেট না দেওয়ার কারণে অ্যাপটির কাজ করছে না। আপডেট করা হলে আবারও সচল হবে। অনলাইনে ওয়েবসাইটে ডাটা সংরক্ষণ করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। মূলত ফান্ডিং না দেওয়ার কারণে অ্যাপটির এমন অবস্থা।
অ্যাপটি নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাসেলের সঙ্গে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত চুক্তি ছিল। আমিও এই অভিযোগটা বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মকর্তার থেকে পেয়েছি। আমি অনেকবার চেষ্টা করেও রাসেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। তার যে চাহিদা সেটা আমাদেরকে জানাতে হবে। এরপর যদি আমাদের সাধ্য থাকে তাহলে আমরা আপডেট করবো না হলে বিকল্প খুঁজবো।