বদলে যাচ্ছে বিসিএসের পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রভাব কমছে বিজ্ঞানের

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

৪০তম বিসিএসের ফলাফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থীরা সুবিধা পেয়েছেন বেশি। কারণ, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় বিজ্ঞানের বিষয় থেকে প্রশ্ন হয় বেশি। এতে বিজ্ঞানের চাকরিপ্রার্থীরা ভালো করলেও সে তুলনায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারেননি। এখন থেকে সেই সুযোগ আর পাচ্ছেন না বিজ্ঞানের বিষয়ের শিক্ষার্থীরা।

বিসিএসের পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ভবিষ্যতে পিএসসির অধীনে যত প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে, তার প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা হবে।

এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, বিসিএসকে যুগোপযোগী করার অংশ হিসেবে পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে। সবাই সমানভাবে সুযোগ পাক, সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিএসসির পরীক্ষায় কোনও নির্দিষ্ট বিভাগ থেকে পাস করা প্রার্থীরা বেশি সুবিধা পাবেন না। শিগগির এ পরিবর্তন আসছে। পিএসসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন: বিমান বাংলাদেশে চাকরির সুযোগ

৪০তম বিসিএসের পর চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরাই ভালো ক্যাডার পেয়েছেন বেশি। ১৫টি ক্যাডারে প্রথম স্থান তাদের। বুয়েট থেকেই প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পেয়েছেন ৫০ জন। বিজ্ঞোনের প্রার্থীদের এমন একচেটিয়া সুবিধা বন্ধ করতে পরিবর্তন আনছে পিএসসি।

এর আগে একটি তদন্ত কমিটি করেছে পিএসসি। বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় প্রচলিত নিয়মেও পরিবর্তন আসবে। এখানে ২০০ নম্বর রয়েছে। লিখিততে পাস করা প্রার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষা কমিটির থাকা পিএসসির এক সদস্য জানান, ৪১তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর ভাগ থাকবে।

সঠিক প্রশ্নের উত্তর, পোশাক, মানসিক দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস, সমস্যা সমাধানের দক্ষতার আলাদা নম্বরের ঘর থাকবে। সেখানে প্রত্যেক পরীক্ষক নম্বর দেবেন। পরে নম্বর যোগ করে মৌখিকের নম্বর ঠিক হবে।


সর্বশেষ সংবাদ