১৮ মাসে শেষ হবে বিসিএস!
বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে বিসিএস যেন এক স্বপ্নের নাম। নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, বেতন, সামাজিক পদমর্যাদাসহ নানা কারণে তরুণরা এখন বিসিএসমুখী। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধীরগতির কারণে অনেক মেধাবী বিসিএস বিমুখও হচ্ছেন। সেই ধীরগতি কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ করতে ১৮ মাস সময় নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ক্যারিয়ার প্লানিং পলিসিতে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কর্ম পরিকল্পনা নীতিমালার খসড়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বিসিএস শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া নীতিমালায় সর্বোচ্চ ১৫ মাসে একটি বিসিএসের প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইভা শেষ করতে বলা হয়েছে। আর চূড়ান্ত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মুক্তযোদ্ধা সনদের সত্যতা যাচাই করতে ৩ মাস সময় নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া ১৮ মাসে শেষ করতে খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব জানান, বিসিএসের সময় কমিয়ে নিয়ে আসার দায়িত্ব পিএসসির। তারা ইতোপূর্বে কম সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্নও করেছে। তবে বিসিএসের পুরো প্রক্রিয়া আরও কম সময়ে শেষ করার জন্য সরকারের ক্যারিয়ার প্লানিং পলিসির খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ১৮ মাসেই একটি বিসিএস শেষ করা হবে।
এদিকে পিএসসি বলছে, তারা শুধু বিসিএস নিয়েই কাজ করেন না। বিসিএস ছাড়াও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষাগুলোও তাদের নিতে হয়। নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। এছাড়া ভাইভা নেয়া এবং লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখাতেও অনেক সময় লেগে যায়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও দ্রুত সময়ে একটি ব্যাচের বিসিএস শেষ করতে পারেন না তারা।
এ প্রসঙ্গে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, বিসিএস দৃশ্যমান, সেজন্য এটা সবার চোখে পড়ে। তবে বিসিএস ছাড়াও পিএসসি আরও অনেক নিয়োগের কাজ করে থাকে। তবে সেগুলো অদৃশ্য। আমরা চেষ্টা করছি বিসিএসের সময় কমিয়ে নিয়ে আসার। সেজন্য তৃতীয় পলীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি বাদ দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।