পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসহ ১১ দাবি জানিয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঢাবি শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে সকল ধরনের চাকরিতে নিয়োগ, নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ, একইসঙ্গে একাধিক চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা এড়াতে মনিটরিং সেল গঠনসহ ১১ দফা দাবিতে পিএসসি চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার  (১৭ ডিসেম্বর) ঢাবির টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র জালাল আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম এর সাথে দেখা করে ১১ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তাঁর হাতে তুলে দেন ।

প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য  বিভাগের সাবেক ছাত্র আল আমিন মিরা এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র মো: রিফাত মেহেমুদ প্রিন্স।

১১ দফা দাবি হলো
সকল চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে পিএসসির অধীনে হতে হবে; নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভার মার্কসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; নন ক্যাডার বিধি-২০২৩ এমনভাবে সংস্কার করতে হবে  যাতে বিসিএস পরীক্ষায় প্রিলি ও  রিটেন পাস করে ভাইবা তে উত্তীর্ণ হলেই সবাই সরকারি /আধা সরকারি কোন না কোন চাকরি পায়; একইদিনে একই সময়ে যাতে সম গ্রেড়ের একাধিক  চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা যাতে  না হয় সেজন্য পিএসসির চেয়ারম্যান স্যারের তত্ত্বাবধানে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক,ব্যবসা এবং বিজ্ঞান এই তিনটি গ্রুপের কথা চিন্তা করে  বিসিএস পরীক্ষা সহ সকল চাকরির পরীক্ষায় মানসম্মত এবং ভারসাম্যমূলক প্রশ্ন পত্র তৈরি করতে হবে; এক বছরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।প্রয়োজনে একবার  প্রিলিতে উত্তীর্ণ  হলে দুইবার রিটেনের সুযোগ দিতে হবে। একবার রিটেন পাশ করলে দুবার ভাইবার সুযোগ দিবে হবে; প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে।মাইগ্রেশনের  মাধ্যমে  প্যানেল খেকে  নিয়োগ দিলে পদ আর শূন্য থাকবে না।বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দক্ষ জনশক্তি থেকে  গেজেটের আগ পর্যন্ত যতগুলো পদ খালি থাকবে, ততগুলো পদ পূরণ করতে হবে। 

ক্যাডারে ও নন ক্যাডারের জন্য একই ব্যক্তি কে একই ক্যাডারে একাধিকবার সুপারিশ করা যাবে না; বিসিএস প্রিলি পাস করার পর ক্যাডার চয়েজ পরিবর্তনের সুযোগ রাখতে হবে। কারণ অনেকেই  ক্যাডার চয়েজ গিয়ে ভুল করে ফেলেপ্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর প্রতিটি প্রশ্নের  'উত্তর' ওয়েবসাইটে দিতে হবে এবং লিখিত পরীক্ষার পর দ্রুত সময়ে  খাতা পুন:নিরীক্ষণ করার সুযোগ দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ