২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৫

বিসিএসের প্রশ্নফাঁস, সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার বিজি প্রেসের ২ কর্মী

বিজি প্রেসের দুই কর্মকর্তা আকরাম হোসেন ও মজনু মিয়া  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি মুদ্রনালয় (বিজি) প্রেসের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। বুধবার (২৭ নভেম্বর) তাদের রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পুলিশের বিশেষায়িত এ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন—আকরাম হোসেন ও মজনু মিয়া। এর মধ্যে আকরাম বিজি প্রেসের বাইন্ডার এবং মজনু মিয়া সেখানকার পোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান জানিয়েছেন, বিসিএস প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির একটি দল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন: ‘এমডি মিজানে’র মাধ্যমে দুই বিসিএসের প্রিলিতে বসেন রাজ ও তার বন্ধু

এর আগে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছাপাখানা বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির গ্রেপ্তারকৃত বাইন্ডার আকরাম হোসেন এবং পোর্টার মজনু মিয়া।

জানতে চাইলে আকরাম হোসেন তখন জানিয়েছিলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি আর মজনু একসাথে কাজ করতাম এবং সকল পরীক্ষার প্রশ্ন বের করতাম। ২০১৮ সালোর পর থেকে আমি এ কাজ থেকে সরে আসলেও মজনু এটি চালিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন: ৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল পুনরায় প্রকাশ করা হবে: পিএসসি

আর মজনু মিয়া বলেছেন, এমডি মিজান আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে কাজগুলো করিয়েছে। প্রতিটি প্রশ্ন বের করার বিনিময়ে তিনি আমাকে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতেন।

প্রসঙ্গত, সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত ৮ জুলাই আলোচনায় আসা সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোয়ানুর রহমান সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।

সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) গৃহীত সর্বশেষ দুই বিসিএসে (৪৫তম ও ৪৬তম) প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অসংখ্য প্রার্থী। ফাঁস হওয়া প্রশ্নগুলো বিভিন্ন চক্র-উপচক্রের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে হাতে পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।