৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে পারে ২০ জানুয়ারি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে। শিগগিরই লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। 

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ৪তম বিসিএসের রোডম্যাপ তৈরি করেছে পিএসসি। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। যা চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২১ জানুয়ারি থেকে ১ম পরীক্ষকের কাছে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বিতরণ শুরু করা হতে পারে।

রোডম্যাপ অনুযায়ী, দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।  ২য় পরীক্ষকের খাতা নিরীক্ষণ শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ২০ মে। মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ২০ জুন। আর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর।

আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ হতে পারে কাল

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘স্থগিত হওয়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হতে পারে। শিগগিরই কমিশনের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমরা শিগগিরই লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।’

গত ২৭ নভেম্বর থেকে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এ পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো ৪ ডিসেম্বর। আর কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের পদসংশ্লিষ্ট বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিলো। 

চলতি বছরের ১৯ মে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৩ লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন।

গত ৬ জুন ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয় ১২ হাজার ৭৮৯ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর সবচেয়ে কম সময়ে এ ফল প্রকাশ করে পিএসসি। 

৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এরপর পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ