৪৩তম বিসিএস
পদ সংখ্যা বাড়ানোর এখতিয়ার পিএসসি’র নেই
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ PM , আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৪ PM
৪৩তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে পদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। এ দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন তারা। তবে পদ বাড়ানোর এখতিয়ার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নেই বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
পিএসসি বলছে, পদ সংখ্যা বৃদ্ধি করা কিংবা কমানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই। এটি সরকারের বিষয়। সরকার যতগুলো পদের চাহিদা পাঠায় ততগুলো পদের বিপরীতে তারা নিয়োগের সুপারিশ করেন।
পিএসসি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, একটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগ পর্যন্ত নতুন করে পদ যুক্ত করা কিংবা কমানো যায়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিজ্ঞপ্তিতে থাকা পদ বাড়ানো কিংবা কমানো যায়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নতুন কোনো পদ যুক্ত করা সম্ভব হয় না। নন-ক্যাডারে আবেদন করা প্রার্থীদের তথ্য কম্পিউটারে ইনপুট দেওয়ার পর পদ সংখ্যা কমানো কিংবা বাড়ানো যায় না।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার, নন-ক্যাডার সুপারিশ কবে—জানাল পিএসসি
পিএসসি’র আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ৪৩তম বিসিএস থেকে ৪৬তম বিসিএস পর্যন্ত ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারে কতজন নিয়োগ দেওয়া হবে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এখন নতুন করে পদ সংখ্যা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র এক শীর্ষ কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনেক চিন্তাভাবনা করে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের নিয়োগ সুপারিশ একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অল্পকিছু প্রার্থীর দাবির কারণে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই। প্রার্থীরা না জেনে না বুঝে আন্দোলন করছেন। নন-ক্যাডারের সুপারিশ পৃথকভাবে করা হলেও পদ বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, পদ সংখ্যা বাড়ানোর এখতিয়ার পিএসসি’র হাতে নেই। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ও পদ বাড়াতে পারে না। কেননা মন্ত্রণালয় কিংবা এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের পদ বাড়ানোর সঙ্গে বাজেটের বিষয়টি জড়িত রয়েছে। পিএসসিতে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার। যারা বিভিন্ন দপ্তর সামলেছেন। তারা অনেক কিছু ভেবেই ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের সুপারিশ একসঙ্গে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানাল পিএসসি
সার্বিক বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও অনেকে ক্যাডার পদে সুপারিশ পান না। ফল প্রকাশের পর ক্যাডাররা হয়তো খুশি হন। তবে ক্যাডারের কোনো পদ না পেয়ে নন–ক্যাডারের অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা হতাশায় ভোগেন। এটি অনুধাবন করে পিএসসি ক্যাডারের সঙ্গে সঙ্গে নন–ক্যাডারের ফল একসঙ্গে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নন–ক্যাডারের পদ বরাদ্দ দিতে অনেক সময় লেগে যায়। আবেদন শেষ করে প্রার্থীদের যোগদানেও সময়ক্ষেপণ হয়। একই সাথে বিসিএস দিয়ে একজন অনেক আগেই চাকরিতে প্রবেশ করছেন, আরেকজন অনেক দেরিতে কর্মজীবন শুরু করছেন। এতে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে মনে হয়। সে কারণে একসঙ্গে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল প্রকাশ করা হবে। ৪৩তম বিসিএস থেকেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে।