৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ৩০ নভেম্বর
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০১:০৭ PM , আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪ PM
৪৬তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিজ্ঞপ্তি আগামী ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হবে। এ বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকাশের কথা থাকলেও সেটিকে এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া এ বিসিএসে বয়সে ছাড় দেওয়ার যে খবর ছিল সেটিও হচ্ছে রবিবার (০৬ নভেম্বর) পিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে হত। এক্ষেত্রে পিএসসির নিয়োগ বিধি সংশোধনের প্রয়োজন হত। যা অনেক সময়সাপেক্ষ। তাই আগের বিধি অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র একজন সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা হলো নভেম্বরে ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে আমরা বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেব।'
এর আগে, গত বছরের আগস্টে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরের ৩০ নভেম্বর নতুন বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এ বিজ্ঞপ্তির পিএসসিতে সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। তবে এখন থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধা ও যথাযথ প্রস্তুতির বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন নির্দিষ্ট করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
পিএসসি সূত্রে জানা যায়, বিসিএস পরীক্ষায় চলমান ভাইভা-জট কমিয়ে আনা হচ্ছে। ভাইভা শুরুর ছয় মাসের মধ্যে একটি বিসিএসের ভাইভা কার্যক্রম শেষ করা হবে। কোনোক্রমেই চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংখ্যা মূল পদসংখ্যার তিন গুণের বেশি রাখা হবে না। কেননা চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংখ্যা অতিরিক্ত হলে ভাইভা জটের সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে একসঙ্গে ছয়টি বিসিএস নিয়ে কাজ করছে পিএসসি। এর মধ্যে ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদের ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষা করা হচ্ছে। নতুন বিধিমালা অনুমোদন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেয়া কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রথম পরীক্ষকেরা জমা দেওয়া শুরু করেছেন। প্রত্যেক পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা দেওয়া হয়েছে।
আর খাতা দেখতে সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। এভাবে সময়ের মধ্যেই যাতে খাতা দেখা শেষ হয়, সে জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হয়, শেষ হয় জানুয়ারি মাসে। এই লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা সময়মতো শেষ করতে চায় পিএসসি। আর খাতা দেখায় যাতে পরীক্ষক দেরি না করেন, সে জন্য পরীক্ষকদের খাতা সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
যদি কোনো পরীক্ষক সময়মতো খাতা জমা না দেন, তাহলে তাকে পরবর্তী সময়ে আর খাতা দেওয়া হবে না বলেও জানায় পিএসসির ঐ সূত্র। গত বছর ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন ১৫৭০৮ জন। চলতি মাসের আগামী ১৯মে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।