৪০তম নন-ক্যাডার প্রার্থীদের দাবি আইনগত ভাবে মানা সম্ভব নয়: পিএসসি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

বিসিএসে আগের নিয়মে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ বহালসহ ছয় দফা দাবিতে ১৫ দিন ধরে আন্দোলন করছেন ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডারের চাকরিপ্রার্থীরা। তবে তাদের এই দাবি আইনগত ভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

গত দুই সপ্তাহে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার, একাধিক সদস্য এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সকল কর্মকর্তাই জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের গেজেট অনুযায়ী প্রার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

পিএসসি কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্বে যেভাবে নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেটি আইনগতভাবে সঠিক হয়নি। কেননা প্রতিটি বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারের পদসংখ্যা উল্লেখ করে দিতে বলে গেজেটে বলা হয়েছে। এতদিন সেই আইন অমান্য করা হয়েছে। তারা এই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না।

পিএসসি কর্মকর্তাদের এমন দাবির সত্যতা খুঁজতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটটি সংগ্রহ করে। ২০১৪ সালের ১৬ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৫ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেছিলেন সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

প্রজ্ঞাপনের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের খ বিধির (অ) এর উপ-বিধি ১ এ বলা হয়েছে ‘‘সরকারের নিকট হইতে নন-ক্যাডার শূন্য পদে নিয়োগের অনুরোধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে, কমিশন বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে পূরণযোগ্য নন-ক্যাডার শূন্য পদের বিবরণ ও সংখ্যা উল্লেখ করিবে।’’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসি’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পিএসসি’র বর্তমান চেয়ারম্যান ৩৮তম বিসিএসের সময় যোগদান করেছেন। যোগদানের পর তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধিমালার আইন পড়েছেন। আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিসিএসে নন-ক্যাডারে কত সংখ্যক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে সেটি উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী তারা কাজ করছেন। এখানে পিএসসি’র কিছু করার নেই।

ওই কর্মকর্তা বলেন, পিএসসি কাউকে নিয়োগ দেয় না। আমরা কেবল নিয়োগের সুপারিশ করি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যতগুলো পদের চাহিদা দেয় আমরা তার বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষা নেই। পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এরপর নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। নিয়োগের ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যাস্ত। এতদিন নন-ক্যাডারে নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পিএসসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতির অনেক আশা থাকে। আমরা সেই আশা পূরণে বদ্ধ পরিকর। কোনো অন্যায় কাজ পিএসসি প্রশ্রয় দিতে পারে না। আইনে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই নিয়োগ কার্যক্রম চলবে।


সর্বশেষ সংবাদ