পরীক্ষকদের ভুলের স্বীকার ৪১তম বিসিএস

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন  © সংগৃহীত

৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। লিখিত পরীক্ষার এতটা সময় পার হলেও  এখন পর্যন্ত ফল প্রকাশ করতে পারেনি পিএসসি। পরীক্ষকেদেরর অবহেলার কারণে এই দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষকদের খাতা দেখতে ভুল করা এবং সঠিক সময়ে রেজাল্ট তৈরি করে তা জমা দিতে না পারার কারণে ফল তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। তবে সব ভুল সংশোধন করে ফল প্রকাশের একদম দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে পিএসসি। এখন নম্বর গণনায় কোনো ভুল হয়েছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী, একজন পরীক্ষক খাতা মূল্যায়ন করার পর তার মূল্যায়ন সঠিক হয়েছে কি না, সেটি যাচাইয়ের জন্য ওই খাতা দ্বিতীয় ধাপে একজন নিরীক্ষক পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনর্নিরীক্ষণ করার সময় নিরীক্ষক দেখেন, যেখানে যেমন নম্বর দেয়ার কথা ছিল, তা দেয়া হয়েছে কি না আবার নম্বর যোগ করতে কোথাও ভুল হয়েছে কি না। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই ফল চূড়ান্ত করা হয়।

পিএসসি বলছে, পুনর্নিরীক্ষণের সময় দেখা গেছে কোনো কোনো পরীক্ষক সব প্রশ্নের উত্তর মূল্যায়ন না করেই খাতা জমা দিয়েছেন। কেউ কেউ নম্বরের যোগফলে ভুল করেছেন। এসব কারণে ফের ওই সব খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠিয়ে মূল্যায়ন করতে হচ্ছে। শিক্ষদের ডেকে এনে ফল সংশোধন করতে হচ্ছে।

পিএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে নির্ভুলভাবে ফল না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকাশ করা হবে না। এটা এমন একটা সেনসিটিভ ইস্যু, কোনো ভুল রেখে ফল প্রকাশ করা হয় না। আগে আমরা নিশ্চিত হব যে এখন নির্ভুল আছে। অটোমেটেড ও ম্যানুয়ালি দুইভাবে পরীক্ষা করে আমাকে জানানো হয়েছে, এটা (ফল প্রস্তুত) শেষ পর্যায়ে আছে।

আরও পড়ুন: সাশ্রয়ের মাসে নোবিপ্রবিতে বিদ্যুৎ বিল দ্বিগুণ।

এই বিষয়ে পরীক্ষানিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস এক গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আমাদের কাজ গুছিয়ে এনেছি। কমিশন বললেই সে অনুযায়ী আমরা বাস্তবায়ন করব।

তবে ৪ বছর পার হলেও  ৪০তম বিসিএসের নিয়োগই শেষ করতে পারেনি পিএসসি। ৩ বছর ধরে আটকে আছে ৪১তম বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ৪১তম বিসিএসে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী আবেদন করে, যা এযাবৎকালের আবেদনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত বছরের ১৯ মার্চ ৮ টি বিভাগীয় শহরে ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৫৬ শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ