৬৫ হাজার ‘এইচ-ওয়ানবি ওয়ার্ক ভিসা’ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২০, ০৯:২০ PM , আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০, ০৯:২০ PM
২০২১ সালের জন্যে প্রায় ৬৫ হাজার ‘এইচ- ওয়ানবি ওয়ার্ক ভিসা’ অনুমোদন দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস বা মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন দফতর (ইউএসসিআইএস) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বিভিন্ন কর্পোরেশন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুরোধ পেয়ে এ অনুমোদন দেয়া হবে।
মার্কিন অভিবাসন দফতরের ফেডারেল এজেন্সি ইউএসসিআইএস, যারা এইচ- ওয়ানবি ভিসার আবেদনপত্রগুলো পরীক্ষা করে, তারা জানিয়েছে, ‘যথাযথভাবে রেজিস্ট্রেশন করা আবেদনগুলোর মধ্যে থেকে এই ৬৫ হাজার ভিসার আবেদন চূড়ান্ত বলে নির্বাচিত হয়েছে’।
এছাড়া ইউএসসিআইএস প্রাথমিক ভাবে ২০২১ অর্থবছরের জন্যে ওই ভিসা বরাদ্দ করার লক্ষ্যে অনুমতি দিয়েছে এবং সেগুলো পর্যাপ্ত রেজিস্ট্রেশনও পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী অর্থবছর শুরু হয়।ইউএসসিআইএস সফল আবেদনকারী এবং তাদের সংস্থাগুলিকে ৩১ মার্চ এর আগেই জানিয়ে দেবে, তারা ‘এইচ- ওয়ানবি ওয়ার্ক ভিসা’ হাতে পাওয়ার জন্যে পিটিশন দাখিলের জন্য যোগ্য। সফল রেজিস্ট্রারদের ওই ভিসা হাতে পাওয়ার জন্যে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জুন।
এই বছরে যারা নতুন করে ‘এইচ- ওয়ানবি ওয়ার্ক ভিসা’ পেতে চেয়েছিল সেই সমস্ত সংস্থাকে বাধ্যতামূলকভাবে ইউএসসিআইএস-এ রেজিস্ট্রার বা নিবন্ধন করতে বলা হয়েছিল এবং ২০ মার্চ ছিল সেই নিবন্ধনের শেষ তারিখ।
জানা গেছে, ইউএসসিআইএস একটি মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর এবং উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্যে অতিরিক্ত ২০ হাজার এইচ- ওয়ানবি ভিসাও দেবে। এইচ ওয়ান-বি ভিসার মাধ্যমে সাধারণত অন্য দেশের নাগরিকেরা আমেরিকায় অস্থায়ীভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
অভিবাসন ও জাতীয়তা আইন, অধ্যায় ১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এইচ ওয়ান-বি ভিসার মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের নাগরিককে বিশেষ পেশায় যেমন তথ্য প্রযুক্তি, অর্থ, হিসাব, স্থাপত্য ও প্রকৌশল ইত্যাদি পেশায় কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।
সাধারণত দক্ষ কর্মজীবীর প্রয়োজন হলে অন্য দেশ থেকে কর্মজীবী নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে। বিভিন্ন নামে এই ভিসা পরিচিত। কারও কাছে এই ভিসা ‘টেক ভিসা’ আবার কারও কাছে ‘ওয়ার্ক পারমিট ভিসা’ নামেও পরিচিত। খবর: এনডিটিভি।