লাফ দিয়ে নয়, ইউএপি ছাত্রের মৃত্যু ৭ তলা ভবন থেকে পড়ে (ভিডিও)

  © সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকাল ৮টা বেজে ১ মিনিট। রাজধানীর গ্রিনরোডস্থ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সাততলার সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেখানকার বারান্দার রেলিং-এর উপর বসার চেষ্টা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমাম হোসেন।

প্রথমে তিনি রেলিং-এর পাশে থাকা একটি চেয়ারে পা দিয়ে রেলিং বসার চেষ্টা করছেন। ৬-৮ সেকেন্ড পর রেলিং-এর উপর বসার পর স্লিপ করে পরে যাচ্ছে তিনি। শেষ মুহুর্তে বাঁচার জন্য চেষ্টাও করতে দেখা তাকে৷ তবে সাততলা থেকে নিচে পড়ে যায় তিনি।

এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

জান যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ইমাম হোসেন। ঘটনার দিন সকালে তার ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। মৃত ইমাম হোসেনের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। বাবার নাম আক্তার হোসেন। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ৯৮নং পূর্ব রাজাবাজারে একটি মেসে থাকতেন। 

আরও পড়ুন: আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে যা লিখেছিলেন ইউএপি শিক্ষার্থী

জানা যায়, ইমাম অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হলেও ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। এজন্য অনেকের চক্ষুশূল হতে শুরু। তার মৃত্যুর আগে; কারা তার এই পরিণতির জন্য দায়ী তাদেরকে চিহ্নিত করে দিয়ে গেছে তার একটি ফেসবুক স্টোরি৷ যেখানে নিজ বিভাগের এক শিক্ষকসহ তার একজন সহপাঠীর সাথে একটি মেয়েকেও দেখা গেছে৷ আর ওই স্টোরিতে ইমাম লিখেছেন ‘তার বর্তমান অবস্থার জন্য তারাই দায়ী’।

এদিকে, ঘটনার পরের দিন শুক্রবার (২০ মে) সকালে ইমামের নিজ বাড়ি ভোলায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং একই সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।”


সর্বশেষ সংবাদ