গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
দেশে সরকারি-বেসরকারি ১৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টি ২০২০ সালে গবেষণা খাতে এক টাকাও ব্যয় করেনি। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৪টি। একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও বছরজুড়ে দু-চারটি প্রকাশনা ছাড়া অন্য কোনো গবেষণা করেনি। তবে গেল বছরে তুলনামূলকভাবে গবেষণা ব্যয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের চার বিশ্ববিদ্যালয়
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে তৈরি ইউজিসির বার্ষিক এই প্রতিবেদনে গবেষণার দুরবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশসেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ব্র্যাক’
২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮ হাজার ৪৮৫ কোটি ১২ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৫৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকার রাজস্ব বাজেট এবং ৫৩টি প্রকল্পের অনুকূলে ৩ হাজার ৩১ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট রয়েছে। এবছর রাজস্ব বাজেটে বরাদ্দ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০২০ সালে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। এর মধ্যে আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় এক টাকাও ব্যয় করেনি। এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩১, পাঁচ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩।
আরও পড়ুন: বাছাই করা মেধাবীদের মাস্টার্সে ভর্তির প্রস্তাব ইউজিসির
ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০ সালে গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তাদের প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ৩৭৮। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গবেষণায় সবেচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ছয় কোটি ৬১ লাখ টাকা। তাদের প্রকাশনার সংখ্যা ছিল ৪৪৫।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় অনেক পুরনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কেও ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১২ কোটি ১৬ লাখ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ৯ কোটি ৩০ লাখ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ আট কোটি ৩৭ লাখ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছয় কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: গুগলে চাকরি পেলেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফুয়াদ
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত গবেষণায়। সে অনুযায়ী আগে থেকেই তাদের পরিকল্পনা করা উচিত। বাজেটের জন্য বাজেট দিয়ে দিলাম, এরপর সেটা খরচ করলাম, এভাবে হলে গবেষণা বাড়বে না।