নির্যাতনে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মৃত্যু, স্বামী কারাগারে
চট্টগ্রামে স্বামীর নির্যাতনে মাহমুদা খানম আঁখি (২১) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি চট্রগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার আইনজীবী আনিসুল ইসলামকে (৩২) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের জিআরও (এসআই) মো. ইউসুফ ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর থেকেই মাহমুদাকে নির্যাতন করতেন স্বামী আনিসুল
আনিসুল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাঁশখালী থানার উত্তর জলদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আসামিরা হলো- আঁখির স্বামী আনিসুল ইসলাম (৩২), শাশুড়ি ফরিদা আক্তার (৫০) ও স্বামীর বড় বোন হামিদা বেগম (৩৪)।
আরও পড়ুন: স্কুলের বিস্কুট খেয়ে শিশুর মৃত্যু
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) মামলার প্রধান আসামি আনিসুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
এ ব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুর রহমান বলেন, আঁখির মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি আনিসুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য ও স্বামীর পরকীয়া দেখে ফেলায় আঁখিকে নির্যাতন করতো আনিসুল ও তার মা ফরিদা। কয়েকদিন আগে অনেক মারধর করে। তার প্রসববেদনা উঠলে প্রথমে নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার হলে সন্তান প্রসব করলেন মাদ্রাসাছাত্রী
আঁখির অবস্থার অবনতি হলে রবিবার রাত ৯টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখি মারা যান। এরপর হাসপাতালের সামনে থেকে আনিসুলকে আটক করা হয়।