বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ইউল্যাব
বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)। ওয়ার্ল্ডস ইউনিভার্সিটিজ উইথ রিয়েল ইমপ্যাক্ট (ডব্লিউইউআরআই) র্যাকিংয়ে এ স্থান পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
১০ জুন সিওলে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউল্যাবের নাম ঘোষণা করেন ডব্লিউইউআরআই প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, প্রকল্প প্রধান এবং সিওল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মুন শ্বে-চ্যাং। র্যাংকিংয়ের অফিসিয়াল ফলাফল কয়েকদিনের মধ্যে ডব্লিউইউআরআই এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বছর ইউল্যাব একমাত্র বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষস্থানীয় ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক মুন শ্বে-চ্যাং।
আরো পড়ুন সশরীরে পরীক্ষা নিতে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
এ বছর র্যাংকিংটি প্রতিটি বিভাগে গ্লোবাল শীর্ষ ১০০ এবং শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গঠিত। বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিল্প ক্ষেত্রে প্রয়োগের সক্ষমতা, উদ্যোক্তা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, নীতিশাস্ত্র ও সততা, বিনিময় এবং সহযোগিতার জন্য শিক্ষার্থীদের গতিশীলতা এবং উন্মুক্ততা এবং সংকট ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা। এই বিভাগগুলোয় ইউল্যাব ‘সংকট বাবস্থাপনাতে’ ২৭তম, ‘উদ্যোক্তা চেতনায়’ ২৮তম এবং ‘নৈতিক মান’ বিভাগে ৩৯তম স্থান করে নিয়েছে।
এই সাফল্য ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং দলগত প্রচেষ্টা উল্লেখ করে ইউল্যাবের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সামসাদ মুর্তজা ইউল্যাব বলেন, এই র্যাংকিং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় বাস্তুশাস্ত্র পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকেই প্রতিফলন করে।
ইউল্যাবের ডব্লিউইউআরআই প্রকল্পের পরিচালক এবং মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জুড উইলিয়াম জেনিলো বলেন, ইউল্যাব সর্বদা নিজেকে সম্প্রদায় ও দেশ গঠনের অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি কর্ম সহায়ক পরিবেশ রয়েছে যা সৃজনশীলতা এবং নতুনত্বকে সর্বদাই অনুপ্রাণিত করে। ২০২১ র্যাংকিংয়ে ডব্লিউইউআরআই সর্বমোট তিনটি প্রোগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ এগুলো সক্রিয় এবং ব্যবহারিক শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, সেই সঙ্গে আধুনিক শিল্পজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং সমাজের উন্নয়নের প্রয়োজন অনুযায়ী গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছ।
প্রসঙ্গত, ডব্লিউইউআরআই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্ভাবনী কর্মসূচির মূল্যায়ন এবং সমাজের প্রকৃত মূল্যবোধ তৈরি ও ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতাকে পরিমাপের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।