২১ মে ২০২১, ১০:০৫

রোজিনা ইসলামের মুক্তি চেয়ে লেখক ফোরামের ভার্চুয়াল মানববন্ধন

লেখক ফোরামের ভার্চুয়াল মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

দেশের শীর্ষ পত্রিকা দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অবৈধভাবে আটকে রেখে শারীরিকভাবে হেনস্থা সহ মিথ্যা ঘটনার অবতারনা করে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে নেওয়ার প্রতিবাদে ও প্রকৃত অপরাধীদের ধৃত করার আহ্বান জানিয়ে ভাচুয়াল মানবন্ধন করছে তরুণ লেখকদের সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।

কোভিড ১৯ মহামারির কারনে স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় সংগঠনের সকল সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিজেদের টাইমলাইন সহ ফোরামের অফিসিয়াল পেজ-গ্রুপে পোষ্টের মাধ্যমে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছেন।

ভার্চুয়াল মানববন্ধনের বিষয়ে ফোরামের সভাপতি জাহানুর ইসলাম বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করি। এমতাবস্থায় হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। রোজিনা ইসলামের সাথে ঘটে যাওয়া কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।

আরও দেখুন: ডিআরইউতে প্রবেশ করতে পারবেন না শিক্ষা উপমন্ত্রী, অবাঞ্ছিত ঘোষণা

সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন আজাদ বলেন, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পথে কলমযোদ্ধার ভূমিকা পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ভার্চুয়াল মানববন্ধন। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য আমরা এমন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবো।

কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বলেন, অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার কন্ঠ চেপে ধরতেই প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটক ও হেনস্থা করে এই সময়ে মিথ্যা কাহিনী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দেশের ৪র্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করে কখনোই দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। তাই রোজিনা ইসলামকে মুক্তি ও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া সহ দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মে (সোমবার) ‘রাষ্ট্রীয় গোপন নথি’ চুরি চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। পরে রাতে তাকে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস' আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরদিন ১৮ মে (মঙ্গলবার) তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে পুলিশের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আজ জামিন শুনানী হলেও আদেশ পরে দেওয়া হবে মর্মে জানানো হয়েছে।