করোনা শেষে জাপানে উচ্চশিক্ষার সুযোগ: রাষ্ট্রদূত

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উল্লাস
গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উল্লাস  © ফাইল ফটো

করোনা পরিস্থিতি শেষে জাপানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। জাপান সরকারের বৃত্তি সুবিধার আওতায় সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ারও সুযোগ থাকবে।

মঙ্গলবার জাপানে পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকার জাপানী দূতাবাস এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে জাপান সরকারের প্রদত্ত বৃত্তি (শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ম্যাক্স্ট স্কলারশিপ), পড়াশোনা, জাপানের জীবনযাত্রার এবং এর সুবিধাগুলোর তথ্য প্রদান করা হয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অনুষদের সদস্যসহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি এ লাইভ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারের জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘আমি আশা করি আমরা সম্ভাবনাময় যোগ্য শিক্ষার্থীদের জাপানে পড়তে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারব এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করব।’

তিনি বলেন, এ মহামারির সময় বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার চিন্তা করা দুষ্কর, কিন্তু আমি নিশ্চিত যখন আমরা এ কোভিড-১৯ মহামারি পেরিয়ে যাব, তখন তরুণদের জন্য আরও অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকবে। আমি সত্যিই আশাবাদী যে আপনরা সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করে ভবিষ্যতে সফল হবেন। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে জাপানে পড়াশোনা করার কথা বিবেচনা করবেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব দ্য এক্সারনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ড. ক্যাথরিন লি বলেন, ‘আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনারা যদি শিক্ষার্থী হিসেবে জাপানে যেতে চান তবে সেখানে পড়াশোনার করার, জাপানি ভাষা শেখার, এমনকি চাকরি পাওয়ার সুযোগ আছে। জাপান তাদের কর্মশক্তিতে দক্ষ কর্মীদের যুক্ত করতে আগ্রহী এবং সেখানে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ভাষা, সংস্কৃতি এবং দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতা করার বিষয়ে তারা অনেক সদয়।’

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপান বাংলাদেশি প্রায় ৪ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করছে। শুধু ২০১৯ সালেই ১২০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সরকার প্রদত্ত বৃত্তি পেয়েছেন এবং বর্তমানে জাপানে বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন। বছরে দুবার এ বৃত্তির জন্য আবেদন করা হয়। মধ্য এপ্রিলে (দূতাবাস সুপারিশকৃত) এবং অক্টোবরে (বিশ্ববিদ্যালয় সুপারিশকৃত)।


সর্বশেষ সংবাদ