গণবিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদয়ে বায়ান্ন

  © সংগৃহীত

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন-সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম ভাষা হচ্ছে ইংরেজি। সরকারি অফিস আদালত, বিচার বিভাগ, ব্যাংকিং কার্যক্রমে সর্বত্রই ইংরেজি ভাষার একচ্ছত্র আধিপত্য। এমনকি জনগণের জন্য নেয়া প্রতিটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে ইংরেজিতে, তাই বাংলাভাষী জনগণের কাছে তা থেকে যাচ্ছে অজানা, দুর্বোধ্য।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ‘হৃদয়ে বায়ান্ন’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভা, সাহিত্য প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যে কোনো জাতির বিকাশে মাতৃভাষার বিকল্প নেই দাবি করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ আরো বলেন- শুধু ইংরেজি ভাষায় জ্ঞানের চর্চা হয় এমন নয়, অন্য অনেক ভাষায় জ্ঞানের চর্চা হয়। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে অন্য ভাষায় যে জ্ঞান চর্চা হচ্ছে তার সঙ্গে জনগণের যোগসূত্র তৈরি করা, তেমনি বাংলা ভাষায় যে জ্ঞান চর্চা হচ্ছে তা অন্য ভাষায় বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়া। ইংরেজি ভাষার প্রতি আমাদের অতিরিক্ত আগ্রহ এক ধরণের দাসত্ব, ইংরেজি সাহিত্য জানা বা ভাষা শিক্ষা নয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন- ভাষার মাস এলে আমরা দু’একটা রায় বাংলায় দেখি, বাকিগুলো ইংরেজিতে করা, তাও আবার ভুল ইংরেজি। জনগণের জন্য হওয়া কোনো কিছু জনগণের ভাষায় না হলে জনগণ বঞ্চিত হয়। কেননা ভাষা মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদ এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দেলওয়ার হোসেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মনসুর মুসা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী। পরে অগ্নিসেতু সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্যদের অংশগ্রহণে ভাষার গান, নাচ, কবিতা আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করা হয়।

 


সর্বশেষ সংবাদ