ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ডিআইইউ
এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘সঠিক পরিকল্পনার অভাবই জ্বালানি খাতে লুণ্ঠনের প্রধান কারণ’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুটেক্স) হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।
আজ শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পক্ষ দল হিসেবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বিপক্ষ দল হিসেবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ১০ দফা সুপারিশ করেন। এগুলো হলো ১. বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সম্পাদিত সব চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে জনসমক্ষে প্রকাশ করা। কোনো চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী হলে তা বাতিল করা; ২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল, করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জ্বালানি খাতের মাফিয়াদের বিচার করা; ৩. বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দুর্নীতি অনুসন্ধানে ফরেনসিক অডিট করা; ৪. এলএনজি আমদানির দিকে না ঝুঁকে নিজস্ব গ্যাস-কয়লা অনুসন্ধান ও উত্তোলন করা; ৫. ধারণা করা হয়, আমাদের অফসরে, অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও তেলের মজুদ রয়েছে, তা উত্তোলনের ব্যবস্থা করা; ৬. বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণে জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ গণশুনানি নিশ্চিত করে নিরবচ্ছিন্ন মানসম্পন্ন জ্বালানি সরবরাহ করা; ৭. ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে বেরিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি ও টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দেওয়া; ৮. বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদন সক্ষমতা নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা; ৯. গ্যাস ও কয়লা উত্তোলনে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ও ১০. বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, কয়লা, ফার্নেস ওয়েল ইত্যাদি সঠিক মূল্যে আমদানি নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: লন্ডনে হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশ্লেষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের দরকার রামপাল, রূপপুর, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র কীভাবে বাতিল করা যায়, সেটার একটা রাস্তা তৈরি করতে হবে। কারণ এসব প্রকল্প ভয়াবহ বিপদ ঢেকে আনবে ভবিষ্যতে।’
তিনি আরও বলেন, যেভাবে দুর্নীতি সম্পদ লুণ্ঠন ও সম্পদ পাচার হয়েছে, সেটার তথ্য অনুসন্ধান করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক রিশান নসরুল্লাহ ও সাংবাদিক মো. মহিউদ্দিন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।