‘মর্জি মাফিক নিয়োগ- ছাঁটাইয়ে সর্বেসর্বা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি’ সংবাদের প্রতিবাদ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৪ PM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৭ PM

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘মর্জি মাফিক নিয়োগ-ছাঁটাইয়ে সর্বেসর্বা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. লুৎফর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। এতে বলা হয়, দুই যুগ ধরে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেসরকারি এ উচ্চশিক্ষালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বল প্রয়োগ করে শিক্ষক-কর্মকর্তা ছাঁটাই, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, সিন্ডিকেট আয়োজনে অনীহা এবং ভিসির ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব না দিয়েই ক্যাম্পাস ত্যাগ করার মত বিষয়ে অসন্তোষ বাড়ছে ক্যাম্পfস সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উপাচার্য হিসেবে ড. মো. লুৎফর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কয়েকজনকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করান। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, সিএসই বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগের এক ডজনের বেশি শিক্ষক চাকরি ছেড়ে চলে যান। এছাড়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট আয়োজনে অনীহা, অযৌক্তিকভাবে শিক্ষার্থীদের ফি বৃদ্ধি নির্ধারণ এবং ভিসি ছুটিতে থাকাকালীন কখনো প্রোভিসি কিংবা অন্য কর্মকর্তাদের ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব দেননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রফেসর মীর আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে দাবি করা হয়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিটি ইউনিভার্সিটি সুনামের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যেখানে প্রতি বছর ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষককে ইউজিসির বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক অধিকতর সুবিধা পেলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আরো পড়ুন: মর্জি মাফিক নিয়োগ-ছাঁটাইয়ে সর্বেসর্বা সিটি ইউনিভার্সিটির ভিসি ড. লুৎফর
বিশ্ববিদ্যালয়টি আরো দাবি করে, ডেইলি ক্যাম্পাসের রিপোর্টে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদত্যাগের বিষয়ে যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। বরং প্রতিটি শিক্ষক ও কর্মকর্তা তাদের নিয়োগপত্রের শর্তানুযায়ী পদত্যাগপত্র প্রদান করেছেন এবং শর্তানুযায়ী আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রিলিজ অর্ডার নিয়ে অন্যত্র চলে যান। এছাড়াও ভিসির অবর্তমানে প্রো-ভিসিকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রচারিত তথ্য সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অবর্তমানে প্রো-ভিসি চলতি দায়িত্ব পালন করেন বলেও দাবি করে সিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
প্রতিবেদনটিতে যেসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে প্রতিবেদক সরাসরি ও মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন। এছাড়াও প্রতিবেদনটি প্রকাশের পূর্বে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস, খাগান, বিরুলিয়া, সাভারে সরেজমিন পরিদর্শন করে এই প্রতিবেদক। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সময় দেননি। পরে প্রোভিসি ড. কাজী শাহাদাৎ কবিরের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করলে ইতঃপূর্বে তিনি কখনো ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব পালনের তথ্য দিতে পরেননি। ফলে প্রশাসনিক নিয়োগ ছাঁটাই সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
এ ছাড়া প্রতিবেদকের কাছে স্পষ্ট তথ্য রয়েছে, ভিসির অনীহায় পূর্ববর্তী অন্তত ২ বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়টির অতি গুরুত্বপূর্ণ সিন্ডিকেট মিটিং আয়োজন হয়নি। ফলে প্রতিবেদনটি কাউকে ছোট করার জন্য কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা হয়নি। বরং যথাযথ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভুক্তভোগীদের থেকে নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।