২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০৬

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ফের আন্দোলনে প্রাইমএশিয়ার শিক্ষার্থীরা

সকাল থেকে আন্দোলন করছেন প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বোর্ড অব ট্রাস্টির (বিওটি) অপসারণ এবং স্থায়ী ক্যম্পাসের নিশ্চয়তার দাবিতে ফের আন্দোলন নেমেছেন বেসরকারি প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বছরের পর বছর স্থায়ী ক্যম্পাসের জন্য দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কোনো বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দেয়নি। ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টি গঠিত হয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অবৈধ বোর্ড অব ট্রাস্টি শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাৎ করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। নানা জটিলতায় আটকে আছে অসংখ্য শিক্ষার্থীর সনদ। 

একমাত্র উপায় হিসে বোর্ড ট্রাস্টির অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা নিকটস্থ প্রাইম ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্ট ফ্রিজের দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, শুধু বিওটি সদস্যদের দুর্নীতির কারণে প্রাইমএশিয়া দিনের পর দিন মান হারাচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী সেমেস্টার ফি না দিয়ে পরীক্ষায় বসতে পারেন না। তাদের টাকা লোপাট করে বিওটি আরও ধনী হচ্ছে। অর্থ লোপাট না হলে  স্থায়ী ক্যাম্পাস হওয়া কোনো বিষয় না। কিন্তু বিওটির মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির ফলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে। তারা এর প্রতিকার চান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার বলেন, ‘আমি কোনো আন্দোলনে জড়িত নই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি সার্টিফিকেট তুলতে। কিন্তু এখন কোনো সার্টিফিকেট ইস্যু করছে না কর্তৃপক্ষ। আমাদের এসবের সঙ্গে জড়িত হওয়ার ইচ্ছে নেই। দ্রুত এসব ঝামেলা সমাধান হওয়া জরুরি।’

আরো পড়ুন: বিভিন্ন দাবিতে প্রশাসন ক্যাডারদের অবস্থান, জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠক

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিওটির সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মিটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তা হয়নি। যেহেতু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিওটির বিরুদ্ধে, তাই তারাই এর ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অর্থ নিইনি। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করলে আপনারা সেটি দেখবেন। অভিযুক্তরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সাবেক ট্রেজারারসহ বেশ কয়েকজন এর সাথে জড়িত।