০৩ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৪৭

এনএসইউ সিপিসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল বি-মিট অষ্টম ব্যাচের সমাপনী

এনএসইউ সিপিসির আয়োজনে বি-মিট অষ্টম ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ক্যারিয়ার অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেন্টারের (সিপিসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ-মিয়াজাকি আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স এডুকেশনাল ট্রেনিং (বি-মিট) প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচের সমাপনী। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বি-জেট সেন্টারে এ প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী শিক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জাপানের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আমাদের জীবনের বিভিন্ন উপায় বোঝার এক অনন্য সুযোগ দেয়। সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা আমাদের বিশ্বব্যাপী বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করতে পারি এবং বিশ্বকে আরও শান্তিপূর্ণ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারি। 

আরও পড়ুন : কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এনএসইউ

এনএসইউ উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বিশ্ববাজারে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করে আরও বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন এবং বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন ও সহযোগিতায় অবদান রাখতে পারেন।

বি-মিটের প্রজেক্ট ম্যানেজার মি. সিন্নোসুকে তাসাকা এবং সাব-প্রজেক্ট  ম্যানেজার অধ্যাপক ইয়াসুনোরি ইয়ানো এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির তাৎপর্য তুলে ধরে মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীদের জানান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু ও জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি মিনামি কুরোকামি। অনুষ্ঠানে মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানি ভাষার শিক্ষক সিনা সরদার প্রশিক্ষণার্থীদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন : চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে: এনএসইউ উপাচার্য

সমাপনী অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটরা প্রোগ্রামের ব্যবসায়িক শিষ্টাচার, জাপানি ভাষা এবং জাপানি চাকরির বাজারের সাংস্কৃতিক বোঝার প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শেষে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে তাদের ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতার জন্য প্রশংসাপত্র দেয়া হয়। 

সমাপনী বক্তব্যে সিপিসির পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ খসরো মিয়া প্রশিক্ষণার্থীদের অর্জন এবং বি-মিটের সহযোগিতামূলক মনোভাবের প্রশংসা করেন।