সাউথইস্টে বাংলার ম্যাথ চ্যাম্পিয়নশিপে বিজয়ী ১০৫ শিক্ষার্থী ও ১৮ দল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ AM , আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ AM
‘গণিত হোক আনন্দের’ স্লোগানে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসইউ) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় জুনিয়র, ইন্টারমিডিয়েট এবং অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরিতে ১০১ জন বিজয়ী হয়েছেন। টিম রাউন্ডে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে ৫টি, ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ১০টি এবং অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরিতে ৩টি দল বিজয়ী হয়।
বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপের (বিএমটিসি) উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন। গত শুক্রবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রহিমআফরোজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ রহিম। তিনি অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেন এবং তরুণ মেধার বিকাশে এ ধরনের প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গণিতবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি শিক্ষার্থীদের গণিত শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং তাদেরকে উৎকর্ষ সাধনের জন্য উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। তিনি এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার এবং শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদ এ জাহান ও মুন্সীগঞ্জের হরগঙ্গা সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত আইনের খসড়া চূড়ান্ত হচ্ছে
বাংলার ম্যাথের চলমান প্রোগ্রাম ও বিএমটিসি ২০২৪-এর পুরো কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন বাংলার ম্যাথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ শাহরিয়ার, মাহতাব হোসেন এবং আশরাফুল আল শাকুর। তারা উপস্থিত অংশগ্রহণকারী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
বাংলার ম্যাথের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যু সহযোগিতায় আয়োজিত বাংলার ম্যাথ টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ শিক্ষার্থীদের গণিত দক্ষতা প্রদর্শন এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অংশগ্রহণের একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে। আয়োজকদের আশা, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের তরুণ গণিতবিদদের অনুপ্রাণিত করতে এ উৎসবটি ভবিষ্যতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।