১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৫১

এনএসইউ’তে ঈদে মিলাদুন্নবীর আলোচনা-দোয়া অনুষ্ঠিত

এনএসইউ’তে ঈদে মিলাদুন্নবীর আয়োজনে দোয়া করছেন অতিথিরা  © টিডিসি ফটো

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) ২০২৪ উপলক্ষে বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এনএসইউ অডিটোরিয়ামে হয় অনুষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওট) চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হাদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএসইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।

পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনএসইউ’র স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন। 

আলোচনায় তিনি বলেন, মহানবী (সা.) সামাজিক ন্যায়বিচার, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও এসবের অনুশীলন করেছেন তিনি। সমাজসংস্কারক হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাই সর্বকালের সেরা আদর্শ।

আলোচনায় ড. মো. আহসানুল হাদী বলেন, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে আলোচনা খুব বেশি প্রয়োজন। আমরা সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে যে পরিবর্তন, যে সংস্কারের কথা বলছি তার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মাত্র ২৩ বছর সময়ের মধ্যে তিনি তৎকালীন সময়ের পিছিয়ে পড়া আরব জাতিকে বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য ও সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষে আহলে সুন্নত-হেফাজত

সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কর্ম অনুসরণীয় জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর ধর্মদর্শন বাদ দিয়ে যদি কোন জাতি শুধুমাত্র তাঁর জীবনাদর্শন ধারণ করতে পারে তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই জাতি উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ মক্কা ও মদিনার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, মহানবীর স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহে বার বার ফিরে যেতে মন চায়। এক অসাধারণ ভালোলাগা কাজ করে। নবীজির শিক্ষা আমাদের জীবনে ধারণ করলে সমাজ সুন্দর হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, আমরা মহানবী (সা.) এর শিক্ষা অনুসরণ করতে পারলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হতো। মানবজাতির সংস্কারের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা শ্রেষ্ঠ মানুষকেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না থাকলেও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে তিনি জ্ঞান অর্জন করেছেন।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এনএসইউ’র কোষাধ্যক্ষ ও উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আবদুর রব খান। তিনি বলেন, মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করে আমরা যেন নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে পারি সেই চেষ্টা করে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ড. আহসানুল হাদী।

উল্লেখ্য, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরে বিখ্যাত কুরাইশ বংশে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটিকে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকেন।