বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ছবি ভাইরাল

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়া হয়।  © সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার হামিম মো. ফাহিম (২৫) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার দুপুরে কোমরে রশি ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

তিনি চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির এলএলবির শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায়। ফাহিম পেকুয়া সদরে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।

ফাহিমের কয়েকজন বন্ধু বলেন, আদালতে করা একটি মারামারির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে নেওয়ার পথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের মতো তাঁকে কোমরে বড় রশি বেঁধে আদালতে নেওয়া হয়। এতে ফাহিমের মতো হাজারো ছাত্র মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন।

ফাহিমের বাবা শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘গত ডিসেম্বরের শুরুতে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে বড় ছেলে ফাহিম বাদী হয়ে মামলা করে। এরপর প্রতিপক্ষের লোক গোপনে আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা করলে ওয়ারেন্ট হয়ে যায়। মামলা, পরোয়ানা—এসবের কিছুই আমরা জানতাম না।’

চকরিয়া অ্যাডভোকেটস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রথম কথা হলো ফাহিম একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই। একটি মারামারি মামলায় গ্রেপ্তার করে এভাবে কোমরে রশি বাঁধা বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যায় না। একজন ছাত্রকে কোমরে রশি বাঁধা অমানবিক।


সর্বশেষ সংবাদ