এমআইটি-হার্ভার্ডের মতো গবেষণাগারের সুযোগ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণারে গবেষকরা।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষণারে গবেষকরা।  © টিডিসি ফটো

বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময়ই এগিয়ে থাকে উচ্চতর গবেষণার কারণে। সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা কিংবা নতুন উদ্ভাবন তাক লাগিয়ে দেয় গোটা বিশ্বকে। কেমন হবে—যদি দেশেই কোনো উদ্ভাবনী আইডিয়া বা ধারণার শুরু থেকে বাজারজাতকরণ—সবই করা যায় এক ছাদের নিচে? ব্যাপারটা এমনই! দেশে প্রথমবারের মতো এমন গবেষণার সুযোগ দিচ্ছে বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)।

বিশ্বখ্যাত এমআইটি ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এই বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দিচ্ছে উদ্ভাবনী যেকোনো ধারণাকে বিভিন্ন ধাপে উন্নীতকরণ, ডিজাইন থেকে বাজারজাতকরণ, বিনিয়োগকারীদের যুক্ত করে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা, ল্যাব সুবিধা ও প্রযুক্তি সহায়তা, প্রাইমারি ফান্ডিং, ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক এবং বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনসহ পূর্ণাঙ্গ সব সহযোগিতা। এতে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে ইউআইইউ’র ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন (আইরিক)।

আইরিকের লক্ষ্য একাডেমি-ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন; একই সঙ্গে সামাজিক ও ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলোকে উদ্ভাবনী সমাধান তৈরির জন্য যৌথভাবে কাজ করাঅধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক, আইরিক।

‘আ জার্নি ফ্রম আইডিয়া টু কমার্শিয়ালাইজেশ’স্লোগানকে সামনে রেখে কাজ করা আইরিক দেশের প্রথম কোনো গবেষণা ইনস্টিটিউট যারা বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণায় বাণিজ্যিকীকরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইনস্টিটিউটটির অধীনে রয়েছে অ্যাডভান্স ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি ল্যাব (এইমস), ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস রিসার্চ ল্যাব, সেন্টার ফর ডিজিটাল হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি রিসার্চ, ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড একাডেমিয়া কোলাবরেশন সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন এবং সম্প্রতি চালু হওয়া ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব বা ‘স্মার্ট ইউনিবেটর’। 

আইরিকের লক্ষ্য এবং কাজের ক্ষেত্র নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলে এর পরিচালক এবং ইউআইইউ’র কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন-এর সঙ্গে। তিনি জানান, ‘আইরিকের লক্ষ্য একাডেমি-ইন্ডাস্ট্রি এবং সরকারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন; একই সঙ্গে সামাজিক ও ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলোকে উদ্ভাবনী সমাধান তৈরির জন্য যৌথভাবে কাজ করা। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে নেতৃত্ব দেয়ার উপযুক্ত উদ্যোক্তা গড়ে তোলাও এর অন্যতম লক্ষ্য।’

গবেষণাগারে গবেষকদের জন্য সুযোগ রয়েছে নিজেকে তুলে ধরার। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

ইউআইইউ ল্যাবে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবক ও গবেষকরাও কাজের সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, স্টার্ট-আপ সংস্কৃতির বিকাশ ও তরুণদের উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করতে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব বা ‘স্মার্ট ইউনিবেটর’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে গত বছর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) তিনটি ইনোভেশন হাব উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে, পুরোদমে চালু হওয়া ইউনিবেটরগুলোর মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়েছে ইউআইইউর এই স্মার্ট ইউনিবেটর। উদ্যোক্তা তৈরি এবং গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে নতুন এই ল্যাবটি। সেক্ষেত্রে এখানে তহবিল প্রদানের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করে বাণিজ্যিকীকরণের সব সহায়তাই উদ্যোক্তারা পাবেন একসাথে।

আরও পড়ুন: ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জে যেভাবে শ্রেষ্ঠত্বের জয়মালা বুঁনলো ইউআইইউ

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ইউআইইউর আইরিকে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করা নাবিলা বিনতে আইয়ূব জানান, ‘আমরা ইন্ড্রাস্ট্রি এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করছি। আমরা চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের আগাম প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারের চেষ্টা করছি এবং একই সঙ্গে প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছি।’

সূত্রের তথ্য, দেশে অ্যাকাডেমিক গবেষণা ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয় করে একটি স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে দুটি ল্যাবরেটরি ও দুটি সেন্টার নিয়ে আইরিকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয় ২০২৩ এর শুরুর দিকে। এর আগে ইউআইইউর সিএসই বিভাগে কম্পিউটার বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য অ্যাডভান্স ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি ল্যাব (এইমস ল্যাব) নামে একটি গবেষণাগার স্থাপনের মধ্য দিয়ে আইরিকের অনানুষ্ঠানিক ভিত রচিত হয় ২০১৪ সালে।

গবেষণাগারে সুযোগ রয়েছে নিজের উদ্ভাবনে মগ্ন থাকার। টিডিসি ফটো

বর্তমানে ইউআইইউর আইরিকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি গবেষণা। এর মধ্যে অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি ল্যাবের (এইমস ল্যাব) অন্যতম উদ্ভাবন সিমেড হেলথ নামে একটি প্রকল্প। যা ইতোমধ্যেই বাণিজ্যিকীকরণ করার ফলে প্রতি মাসে ২০ লাখ মানুষকে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার সমস্যাগুলো কী, মানুষ কেন এত দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, রেফারেল ও অন্য দিকগুলোর উন্নয়নে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করতে পারার মতো বিষয়গুলোর পর্যালোচনা নিয়েও এখানে গবেষণা হচ্ছে। ক্লাউড বেজড মেডিকেল সিস্টেম ফর হেলথ মনিটরিং, রিস্ক প্রেডিকশন ও রেফারেল (সিমেড) নামের এ দেশে প্রকল্পটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটাল স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্ট (স্বাস্থ্য কার্ড) তৈরির কাজ করছে।

উদ্যোক্তা তৈরি এবং গবেষণা থেকে বাণিজ্যিকরণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে আইরিক। এখানে তহবিলের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করে বাণিজ্যিকীকরণের সব সহায়তাই উদ্যোক্তারা পাবেন একসাথে।

পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় দক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা, অসংক্রামক ব্যাধি, মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যসেবা, অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে দিনের ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহের ৭দিনই টেলিমেডিসিন সেবা, হেলথ রেকর্ড ও কার্যকর রেফারেল সিস্টেম নিশ্চিত করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও কাজ করছে প্রকল্পটি। একই সাথে স্বাস্থ্যখাতে স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইস যেমন আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড প্রযুক্তি উন্নয়নেও কাজ করবে সিমেড।

দেশের স্বাস্থ্যসেবার ভিন্ন মাত্রা যোগ করা অনন্য এ উদ্যোগের স্বীকৃতিও মিলেছে সরকারের তরফ থেকে। দেশের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করেছেন আইরিকের পরিচালক এবং সিমেড-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন।

বর্তমানে আইরিকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে ২০টির বেশি গবেষণা। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন গ্রাহক পরিষেবা - ভালো গ্রাহক সন্তুষ্টির জন্য ভবিষ্যতের স্মার্ট গ্রাহক সহায়তা, পিভিডক্টর - পারকিনসন্স ডিজিজ শনাক্তকরণ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য স্মার্টফোনভিত্তিক ভার্চ্যুয়াল টুল, ডিপ-ডিপ্রেশন - মানব মস্তিষ্কে প্রাথমিক পর্যায়ে হতাশা শনাক্তকরণের স্মার্ট ডায়াগনস্টিক যন্ত্র এবং আই পাওয়ার - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিস্টেম যা বিদ্যুৎ চাহিদার পূর্বাভাস ও কার্যকর ব্যবহারের সমন্বিত পরিকল্পনা তাৎক্ষণিকভাবে প্রদান করতে পারে—সরকারের কাছ থেকে এমন চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে ইউআইইউর এইমস ল্যাব।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইসিটি বিভাগের সহায়তায় ইউআইইউর এ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের প্রথম ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) রিসার্চ ল্যাব চালু হয় ২০২১ সালে। এই ল্যাবে ব্রেন, নিউরোসায়েন্স, নিউরাল এবং রিহ্যাবিলিটেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাংলাদেশে এর প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা চলছে। দেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত, শক্তি সঞ্চার এবং গবেষণার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) গবেষণা ল্যাব।

আরও পড়ুন: ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের বিজয় কেতনধারী ইউআইইউ

‘এইমসক্রাইব’ নামের একটি গবেষণা প্রজেক্ট নিয়ে এ ল্যাবে গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী সাকিব জামান। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘আমাদের প্রজেক্টের উদ্দেশ্য হলো চিকিৎসক এবং রোগীর কথোপকথন থেকে তার চিকিৎসাপত্র তৈরি করা। এটি আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে করতে চাই এবং আমাদের প্রজেক্টটি সফল হলে চিকিৎসকরা রোগীদের আরও বেশি সময় দিতে পারবেন বলে জানান এই তরুণ গবেষক।’

এছাড়াও অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিডিসিপ্লিনারি সিস্টেম গবেষণাগারে মেশিন লার্নিং এবং ডাটা মাইনিং, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম, কম্পিউটেশনাল ইন্টেলিজেন্স, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োইনফরমেটিক্স এবং এমবেডেড সিস্টেমের ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক দিকগুলো কীভাবে নানা আঙ্গিকে প্রয়োগ করা যায়— সেসব নিয়ে কাজ করেন ইউআইইউ’র গবেষকরা। গবেষণাগারটিতে বর্তমানে ২৫টিরও বেশি প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। বাণিজ্যিকীকরণের অপেক্ষায় রয়েছে আরও চারটি প্রকল্প।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইরিকের ল্যাব উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত

এর মধ্যে রয়েছে— ডিপ-ডিপ্রেশন: মানব মস্তিষ্কে প্রাথমিক পর্যায়ে হতাশা শনাক্তকরণের স্মার্ট ডায়াগনস্টিক যন্ত্র; ফোকাসমাইন্ড: কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীদের একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য একটি ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম; কনসেনট্রেট টুডে: মনোযোগ বাড়ানোর রিয়েল-টাইম ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেসভিত্তিক নিউরোফিডব্যাক সিস্টেম এবং মার্কেটব্রেইন: উন্নত বিপণন গবেষণার জন্য একটি নিউরোমার্কেটিং সিস্টেম। এসব গবেষণা প্রকল্প সামাজিক ও ইন্ডাস্ট্রির নানা সমস্যার সমাধান তৈরি করেছে, যা দেশে প্রযুক্তি আমদানি কমাবে, বাড়াবে রফতানি। নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে অবদান রাখবে জিডিপিতে।

‘আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদের উদ্ভাবনী শক্তি আছে, সে শক্তিকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না' এই মর্মে ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন যে, 'আমরা তাদের সুযোগ দিতে চাই। তাদের শক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। যেকোনো ভালো উদ্ভাবনকে তদারক এবং ইন্ড্রাস্ট্রি পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত কাজের সুযোগ দিতে চাই। বাংলাদেশের যেকোনো বয়সের, যেকোনো পেশার উদ্যোগী মানুষদের জন্য আমরা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে আগ্রহী।’


সর্বশেষ সংবাদ