২৪ জুলাই ২০২৩, ১৮:৩৮

গবেষণা উৎসাহিত করতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয় তার গবেষণার অর্থ ব্যয় করতে পারছে সঠিকভাবে তাদেরকে আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া  হয়। যারা ব্যয় করতে পারেননা তাদের সমস্যা।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় গবেষণাগার এবং উদ্ভাবন-ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, লাইব্রেরির সুবিধাগুলো বিস্তৃতকরণ করা হচ্ছে, আবাসিক সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে সেই সাথে প্রতিটি বিষবিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট যে আসনসংখ্যা সেটি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ইস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষকদের কনফারেন্সে গবেষণাপত্র স্থাপনের এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশে সহযোগিতা প্রদান সহ উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিতে  সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সোমবার ( ২৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  ১১তম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: কোন টালবাহানাই শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে পারবেন না শিক্ষকদের

উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই শিখুক না কেন—তাকে প্রযুক্তি ও ভাষা-গত দক্ষতা অর্জন করতেই হবে; সেজন্য আমরা শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে কাজ করছি। ব্লেন্ডেড এডুকেশন, নতুন শিক্ষাক্রমসহ নানা পরিবর্তন এসব লক্ষ পূরণে কাজ করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়েছে; এ নিয়ে আমাদের বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নান্দনিকতাবোধ, মানবিক শিক্ষা না থাকলে পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র হয়, জ্ঞান সৃষ্টির, মুক্ত বুদ্ধি চর্চার এবং গবেষণার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত পরীক্ষায় আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় নানান বাধা বিপত্তি আছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুরোধ করছি সেগুলো দূর করে দিতে। 

আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষা এবং সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এটি এখন সময়ের দাবি, আমাদের এগিয়ে যেতে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিযোগিতা টিকতে হলে পরিবর্তনের আবশ্যিকতা স্বীকার করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করতে হবে।