র‌্যাব সদস্যের হাতে লাঞ্ছিত যবিপ্রবির সহকারী রেজিস্ট্রার

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

ঢাকার মোহাম্মদপুরে রেস্ট হাউজে র‌্যাব-১ এ কর্মরত পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র সরকারের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সম্পত্তি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম হাসান আলী। লাঞ্ছনার প্রতিকার চেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দিয়েছেন। একইসঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করেছেন সাধারণ ডায়েরি (জিডি)।

সাধারণ ডায়েরিতে (জিডির নম্বর-৩৮৩) এস এম হাসান আলী অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশনা মোতাবেক নতুনভাবে ঢাকাস্থ রেস্ট হাউস কাম লিয়াজোঁ অফিস হিসাবে ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট ৬-বি এবং ফ্ল্যাট ৬-সি, ডেলফিনিয়া অ্যাপার্টমেন্ট, রোড নং ৬, বাড়ি নং ৬/১৯, হুমায়ুন রোড, মোহাম্মদপুর ঢাকায় মালামাল স্থানান্তর করি। কিন্তু ৩০ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টায় ফ্ল্যাট ৭/সি-এর মালিক ও র‌্যাবের ইন্সপেক্টর (র‌্যাব-১ গাজীপুর) সুভাষ চন্দ্র সরকার আমাকে ও আমার দু’জন স্টাফকে বাড়ির প্রধান ফটকের বাইরে বের করে দিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। একইসঙ্গে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি ও অন্যরা ফ্ল্যাট মালিকের সহায়তায় বাসায় প্রবেশের সুযোগ পান। কিন্তু পরের দিন বেলা পৌনে ১২টার সময় সুভাষ চন্দ্র সরকারসহ আরও ৪/৫ জন ভবনটির নীচের একটি কক্ষে হাসান আলীকে হুমকি দিয়ে বলেন, বিকেল তিনটার মধ্যে ফ্ল্যাট ত্যাগ না করলে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হবে এবং বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কিন্তু সুভাষ সরকার ওইদিন সকাল ৮টার দিকে যবিপ্রবির রেস্ট হাউজ কাম লিয়াজোঁ অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সেখানে বিভিন্ন সময়ে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য তিনি এর প্রতিকার চেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। একইসঙ্গে যবিপ্রবি প্রশাসনকেও তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত র‌্যাব-১ এর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র সরকার এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। যবিপ্রবির সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম হাসান আলী নামে কাউকে তিনি চেনেন না এবং তাঁর সাথে কখনো দেখাও হয়নি বলেও তিনি জানান। তবে তিনি যে হাসান আলীকে লাঞ্ছিত করেছেন এবং ভয়ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়েছেন তার অডিও রেকর্ডিং যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করা হয়েছে। অভিযুক্ত র‌্যাব সদস্য যদি লিখিতভাবে ক্ষমা না চান তাহলে অফিসিয়ালি যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় তার সবকিছু করবে।


সর্বশেষ সংবাদ