ফিক্সেশন জটিলতায় ভোগান্তিতে প্রাথমিকের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:০৭ AM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:২৫ AM
১১তম গ্রেডে বেতনের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। তবে গতবছর তাদেরকে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেড দেওয়া হয়। তবে শিক্ষকরা এখনও আগের বেতনই পাচ্ছেন। তাদের বেতনভাতা ১৩তম গ্রেডে ফিক্সেশন না হওয়ায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, বেতনভাতা দেওয়ার নির্ধারিত ‘আইবাস’ সফটওয়্যার-এ কারিগরি জটিলতায় শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করা যায়নি। ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন লাখ ৫২ হাজার সহকারী শিক্ষক রয়েছে। তাদের জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি ১৩তম গ্রেডে বেতনে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিম্ন ধাপে নির্ধারণ করায় বেতন কমে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। বেতন ফিক্সেশন যাতে দ্রুত হয়, তা নিয়ে কাজ করছি।
শিক্ষকরা জানান, ১৩তম গ্রেডের নিম্ন ধাপ আইবাস সফটওয়্যার ইনপুট নিলেও উচ্চ ধাপ নির্ধারণ করলে ইনপুট নিচ্ছে না। অথচ নিম্ন ধাপে শিক্ষকদের বেতন কমে যাচ্ছে। এ কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চ ধাপেই বেতন নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। গণশিক্ষা সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের হস্তক্ষেপে উচ্চ ধাপে বেতন ফিক্সেশন করায় জটিলতার সমাধান হলেও নতুন সংকট তৈরি করেছে এই সফটওয়্যার।
জানা গেছে, সারাদেশে হিসাবরক্ষণ অফিস বেতন নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে। সিস্টেম থেকে নোটিফিকেশন আসছে, ‘উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণ এই পদে প্রযোজ্য নয়।’ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তারা বলেন, এ বিষয়ে তাদের কিছুই করণীয় নেই, যতক্ষণ না আইবাসে সিস্টেম এন্ট্রি করা হয়। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের মনোবল ভেঙে পড়ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ১৩তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে আট মাস আগে। কিন্তু জটিলতার কারণে এখনও বেতন ফিক্সেশন হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত শিক্ষকদের হয়রানি থেকে মুক্ত করা হোক।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সদ্য সাবেক মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আইবাসের ইনপুট সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। কিছু প্রক্রিয়াগত বিষয় রয়েছে। শিগগিরই কাজটি করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।