রাতের আঁধারে বিলীন পদ্মাপারের আরেক বাতিঘর

  © সংগৃহীত

পদ্মা নদীর ভাঙনে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের আরও একটি দ্বিতল স্কুল ভবন নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের কাজীরসূরা ২৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারটি নদীগর্ভে চলে যায়। স্কুলের পাশাপাশি ভবনটি ছিল ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।

পদ্মার ভাঙনে এ বছর একই ইউনিয়নের নুরুদ্দিন মাদবরকান্দি এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি নদীতে বিলীনের পাশাপাশি বন্যায় চরজানাজাত ইউনিয়নের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের একাধিক স্থাপনা ও ইউনিয়ন পরিষদ, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭ নম্বর কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টারের তিনতলা ভবনটিও বিলীন হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ দিন ধরে আবারও পানি বেড়ে যাওয়ায় এতে করে শিবচরের পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নে আবার নদী ভাঙন বেড়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং চালাচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিক ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়ে কাজীরসুরা ২৬ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টারটি পদ্মায় বিলীন হয়।

সূত্র আরও জানায়, দুই শতাধিকেরও বেশি শিক্ষার্থী স্কুলটিতে পড়াশোনা করত। তবে চরাঞ্চল পানিতে প্রবাহিত হওয়ায় স্কুলটি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। নদী ভাঙ্গন কাছাকাছি চলে আসলে ২ সপ্তাহ আগে বন্যার্তদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় পাশেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ও কুজারসুরা বাজারের অর্ধ শতাধিক দোকানপাটসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ ভয়াবহ ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

এদিকে বিলীন হওয়া ২৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী বলেন, ‘গতকাল গভীর রাতে স্কুলভবনটি নদীতে বিলীন হয়েছে। বিকেলেও ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান স্কুল পরিদর্শন করেছিলেন। তখনো স্কুলটি ছিল। বিদ্যালয়টি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হবে।’

শিবচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আগে থেকেই ভাঙনের ঝুঁকি ছিল পদ্মায় বিলীন হওয়া এই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আমরা ওই এলাকার ঝুঁকিতে থাকা সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছি। ভাঙন রোধে ওই এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করা হচ্ছে।’

 


সর্বশেষ সংবাদ