শ্রান্তি বিনোদন ভাতা জটিলতায় ভুগছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
- মো.আবুল কাসেম
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২০, ০১:৪৫ PM , আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০, ০১:৪৫ PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতি তিন বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট হওয়ায় কেবল রমজান মাসের ছুটি গণনা করে তা প্রদান করায় তিনবছরের স্থলে চার বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাচ্ছেন শিক্ষকগণ।
কারণ সরকারি অফিস সৌর বছরের সাথে মিল করে চলে যা ৩৬৫ দিনে গণনা করা হয়। আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়া হয় চাদ মাস হিসাব করে প্রতি রমজান মাসের ছুটিতে; যা ১১দিন কম। যার ফলে তিন বছরে ৩৩ দিন এগিয়ে যায়। যেমন যিনি ২০১৭ সালে পেয়েছেন, তিনি ২০২০ সালের রমজানে পাবেন না, তিন বছরের কয়েকদিন কম হয়ে যাবে ছুটি থেকে ছুটি। এতে করে শিক্ষকগণ তার ন্যায্য পাওনা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ের সুরাহার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আমরা ইতিপূর্বে ননভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। কারণ আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি সপ্তাহে একদিন আর অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন, সব মিলিয়ে আমাদের বার্ষিক ছুটির পরিমান তাদের সমান বা কম।সে হিসাবে নন ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা অত্যন্ত যৌক্তিক ও শিক্ষকগণের সময়ের দাবি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
তাছাড়া ২০২০ সালের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিয়ে নতুন করে সমস্যার সন্মুখীন হয়েছেন শিক্ষকগণ।করোনা ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে ১৬মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। তাই বর্তমান সময়ে শিক্ষকগণের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করছেন হিসাবরক্ষণ অফিস। কেউ বলছেন ১৬ মার্চ থেকে যেহেতু স্কুল বন্ধ আপনারা এ সময় থেকে ১৫ দিন ছুটি দেখিয়ে নিতে পারেন এবং এতে করে পরবর্তী সময়ে অনেকে তিনবছর পর পাবেন। আবার অনেক কর্মকর্তাগণ বলছেন, সাধারণ ছুটিকে গণনা করে ১৬ মার্চ কেন, রমজান মাসে ও ছুটি দেখিয়ে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
কাজেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) সুস্পষ্ট নির্দেশনা একান্ত জরুরি। শিক্ষকগণ দ্রুত এ জটিলতার অবসান চায়। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ চরম হতাশায় আছেন। আমরা সবিনয়ে এর দ্রুত সমাধান চাই।
শিক্ষকগণের পক্ষে-
লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।