শ্রেণিকক্ষ নেই, ক্লাস চলছে অফিসরুমে

অফিস কক্ষ যখন ক্লাসরুম
অফিস কক্ষ যখন ক্লাসরুম

স্কুলটিতে একটি মাত্র ভবন আছে, শ্রেণিকক্ষ ৩ টি। ফাঁকা রুম না থাকায় ক্লাস চলছে অফিস কক্ষে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই পাঠদান চলছে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবির সীমান্তের পাড়ে বাগজানা ইউনিয়নের কয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা বেগম জানান, প্রথম শিফটে শিশুশ্রেণি হতে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের সমস্য হয় না; কেবল দ্বিতীয় শিফটেই শ্রেণীকক্ষের সংকট। তিনি বলেন, সামনের জুন মাসে সরকারি অর্থ বরাদ্দ পেলে একটি টিনশেড ঘর তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে; যেখানে শিক্ষকরাও কিছু সহযোগিতা করবেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অফিস রুমেই ৫ম শ্রেণীর ২২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান করছে। বিদ্যালয়ে অফিস ও শ্রেণীকক্ষ মিলে ৪টি রুম। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্লাসের সময়ই অফিসে শিক্ষকদের মধ্যে কথপোকথন হয়। আবার কোন ছাত্রের অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা করতে আসলে তাদের আলোচনাও ওই ক্লাসেই হয়। ফলে মনোনিবেশ ব্যহত হয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। অফিসেই শিক্ষকরা পাঠদান করে এতে সমস্যা হয় কি-না জানতে চাইলে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাজমা ও মহাদ্দিস বলেন, ‘কিছুটা হয়’।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি কয়েক মাস হলো এখানে যোগদান করেছি। বিষয়টা জানি এবং ইতোমধ্যেই নতুন বিল্ডিংয়ের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ