‘ভাতই খাইতে পারি না, স্কুলে যাব কেমনে’
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ AM , আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ AM
যে বয়সে বাবা-মা আদর যত্ন করে স্কুলে পাঠানোর কথা, বাবা-মায়ের আদর স্নেহে বেড়ে উঠার কথা সেই বয়সে শিশু মমিনের হাতে সংসারের চাকা। অভাবের সংসারে ১১ বছরের শিশু মমিন এখন দায়িত্বশীল পুরুষ। মমিন যেন অনেক দায়িত্বশীল, মমিন আয় না করলে চুলায় আগুণ জ্বলবে না। বলছিলাম ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার শিশু মমিনের কথা।
মমিন ওই ইউনিয়নের মোশারফ ও রহিমা দম্পতির ছেলে। ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে মমিন দ্বিতীয়। বাবা খুচরা মাছ বিক্রেতা। অভাবের সংসার, তাই বুঝ হওয়ার পরই মমিনের কাঁধে ভর করে সংসার। বাবার একার আয়ে সংসার চলে না, তাই খালাতো ভাই আরিফ মাঝির নৌকায় আধ-ভাগী হিসেবে মমিনের যাত্রা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ধনিয়া তুলাতুলি জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন শিশু জাল বুনছে। এর মধ্যে নজর গেল ১০-১১ বছরের এক শিশুর দিকে। রৌদ্রে কালো হয়ে গেছে তার শরীর। সুতার কাজ করছে। এ প্রতিবেদকের কথা হয় মমিনের সাথে। জানতে চাওয়া হয় মমিন এ কাজ পারে কিনা, ছোট মমিন বললো, ছোট থেকেই এ কাজ করি। স্কুলে যাও ? ভাতই খাইতে পারি না, স্কুলে যাব কেমনে। তবে পড়ালেখা করতাম চাই, পারি না। কেমন আয় হয় তোমার ? বড়রা যা পায়, আমি তার থেকে একটু কম পাই। ৩০০/৪০০ টাকা পাই, আবার কম ও পাই।
তোমার বন্ধুরা যখন স্কুলে যায় তখন কেমন লাগে ? নিঃস্বাস ফেলে মমিন বললো-খারাপ লাগে, আর লাগলেই কি করমু, আমরা গরীব মানুষ। মমিনের খালাতো ভাই আরিফ মাঝি বলেন, আমরা গরীব মানুষ, তালে-মিলে চলি। মমিন ছোট হলেও জ্ঞান আছে।