নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ
এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ  © ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণার বারহাট্টায় প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণা করার অভিযোগে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হলেন এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ। তিনি বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর মামলার বিষয়ে কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ ডিসেম্বর নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াসের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লারচর গ্রামে এক নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার লোকজনসহ তার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে ইলিয়াসের পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে আহবান জানান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজ।

নির্বাচনী সভায় উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ইলিয়াস (ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী) খুব ভালো ছেলে। তাকে ধরে রাখতে হবে। ইলিয়াসের জন্য সবাই কাজ করবেন।’ তার এই বক্তব্যের ভিডিও জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদ পারভেজের নজরে আসে। পরে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।

এ ঘটনায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলাদাভাবে তিনটি শোকজ (কারণ দর্শানো) করা হয় ওই প্রধান শিক্ষককে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়। পরে তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদুল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক।

তবে মামলার কাগজ পৌঁছার আগেই অসুস্থতার জন্য এক মাসের ছুটির আবেদন করে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন শিক্ষক সাজ্জাদুল হক। এমনকি অফিসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেননি তিনি।

বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সাজ্জাদুল হক কখনো কোন চিঠি রিসিভ করেন না। এখনো তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোন দিলে রিসিভ করেন না। তাই মামলার কাগজপত্র ওই স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক রিসিভ করে নিয়েছেন। সাজ্জাদুল হক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটিতে চলে গেছেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরে তিনি (বিভাগীয় কর্মকর্তা) এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।


সর্বশেষ সংবাদ