লালমোহনে পৌঁছেছে প্রাথমিকের এক লাখ ৬৯ হাজার নতুন বই

লালমোহনে পৌঁছেছে প্রাথমিকের এক লাখ ৬৯ হাজার নতুন বই
লালমোহনে পৌঁছেছে প্রাথমিকের এক লাখ ৬৯ হাজার নতুন বই  © ফাইল ছবি

ভোলার লালমোহন উপজেলায় নতুন বছরে বিতরণের জন্য প্রাথমিকের এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৬০টি বই পৌঁছেছে। উপজেলার ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৭টি বেসরকারি এবং কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এই বই।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এরিমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে গেছে এক লাখ ৫৯ হাজার ৪০০ বই। বাকি বই বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে দেওয়া হবে। নতুন বইয়ে নতুন বছরে উৎসবে মাতবে লালমোহনের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

নতুন বই পাওয়া পূর্ব ফুলবাগিচা ফারজানা চৌধুরী রত্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকবর হোসেন বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা বই পেয়েছি। নতুন বছরের প্রথম দিনে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা এসব বই তুলে দেবো। আমি মনে করি; নতুন বই পেয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত বাড়বে।

বই পৌঁছেছে লালমোহন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরকচুয়াখালীর চরকচুয়াখালী শহিদ আওলাদ হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫৪ জন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. জয়নুল আবেদিন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের মধ্যে অবস্থিত। তবুও আমরা পিছিয়ে নেই। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী সব শ্রেণির বই পৌঁছেছে। জানুয়ারির প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা বই তুলে দেবো। এর মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়বে। কমবে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

আরও পড়ুন: বছরের প্রথমদিন বই উৎসব পালনের নির্দেশ

লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান মিলন বলেন, বছরের প্রথম দিনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া বর্তমান সরকারের শিক্ষাখাতে বড় সাফল্য। আগে শিক্ষার্থীরা অর্ধেক নতুন ও অর্ধেক পুরোনো বই পেতো। তবে বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে নতুন বই দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে স্কুলমুখী হচ্ছে শিশুরা।

তিনি বলেন, আমাদের উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বই চলে এসেছে। উপজেলার ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৭টি বেসরকারি বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেনে এরই মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী বই বিতরণ করা হয়েছে। আর অল্প কিছু বই রয়েছে, যা বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ মাসের মধ্যেই সব বই বিতরণ শেষ হয়ে যাবে। যথা সময়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মাতবে নতুন বই উৎসবে। আমরা ২০২৪ সালের প্রথম দিনে বই উৎসব করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

এই শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, আমি মনে করি- নতুন বই পেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়মুখী হবে। শিশুরা বিদ্যালয়মুখী হলে উপজেলায় কমবে ঝড়ে পড়ার সংখ্যা। এর ফলে লালমোহনে বৃদ্ধি পাবে শিক্ষার মান। শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ