‘কাজের মান দিয়ে শিক্ষা পরিবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:২৭ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪১ PM
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের চারভাগের একভাগের চেয়েও বেশি জনবল প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে। সংখ্যায় অনেক। সংখ্যায় নয়, কাজের মানদিয়ে আগামীতে এ পরিবার মাথাউঁচু করে দাঁড়াবে। যেন সরকারের অন্য বিভাগের চেয়ে এ বিভাগের ভাবমূর্তি আলাদা হয়।
নবনিযুক্ত পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের (সাধারণ) ইনডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা প্রদান বিষয়ক অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারে ৭৮ শ্রেণির পদ আছে। সবাইকে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের জন্য লিডারশিপ ট্রেনিং সেন্টার আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে আরও সুন্দর হবে এ পরিবার। নবনিযুক্ত ইন্সট্রাক্টরদের উদ্দেশ্যে মহাপরিচালক বলেন, চাকরিকে উপভোগ করতে হবে, সন্তুষ্টি থাকতে হবে। সুসম্পর্ক থাকতে হবে কর্মস্থলে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রেখেই এগিয়ে যেতে হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, আজকে থেকে নবনিযুক্ত ইন্সট্রাক্টরদের ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে, নতুন পথ, নতুনভাবে সূচনা হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্য আপনারা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের বদলা দিতে হবে। একজন প্রশিক্ষক মাস্টার নয় বরং মেন্টর হবেন। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারকে দু’ভাবে ভাগ করা। একটি পরিচালনা অপরটি প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য প্রাথমিক টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের (পিটিআই) অবয়ব পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে প্রশিক্ষণ বিভাগকে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শাহীনুর শাহীন খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান ও ড. উত্তম কুমার দাশসহ প্রশাসন, প্রশিক্ষণ, অর্থ, পলিসি এবং অপারেশনস, ইন্টার্নাল অডিট সেল, উপবৃত্তি, তথ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, প্রকিউরমেন্ট, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন: জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে না থেকেও যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিএনপিপন্থিরা
অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, চলমান শিক্ষার বিকল্প নেই। জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য। কোনো কিছু অর্জন না করতে পারলে আমরা হতাশ হয়ে যাই। সে অর্জিত বিষয়টি পেয়ে গেলে আরও হতাশ হই। এর চেয়ে হয়তো আরও ভাল কিছু পেতে পারতাম। অথচ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকলে অর্জিত বিষয়টি নিয়েই আরও ভাল করে এগিয়ে যাওয়া যায়।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ বলেন, মৌলিক প্রশিক্ষণের মহাযজ্ঞ হলো বেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স (বিটিপিটি) প্রশিক্ষণ। সে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুভূতিমূলক, মনোপেশীজ দক্ষতা উন্নয়ন হবে। প্রশিক্ষণ প্রদান করলেই পরিপূর্ণ হয় না বরং মূল্যায়ন সঠিক হলেই প্রশিক্ষণ পরিপূর্ণ হয়। সামস্টিক ও গাঠনিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে করতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রশিক্ষণ যেনো আনন্দদায়ক।
নবনিযুক্ত ইনস্ট্রাক্টরদের (সাধারণ) মধ্য থেকে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) রোমানা খাতুন, বান্দরবান পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) মাহমুদুল হক। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালক ও সমন্বয়কসহ ১০১ জন নবনিযুক্ত ইনস্ট্রাক্টর উপস্থিত ছিলেন।