প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি—যা বললেন সচিব

ফরিদ আহমেদ ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরতরা
ফরিদ আহমেদ ও পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরতরা  © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা বাতিলের দাবি করেছেন প্রার্থীদের একটি অংশ। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। 

পরীক্ষার্থীরা জানান,  চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। 

সোমবারের মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার সাথী বলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব। 

আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে পছন্দক্রম শুরু হতে পারে এ সপ্তাহে

পরীক্ষার্থীদের দাবির বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন সাড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ। এখানে অনেকেরই পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। যাদের পরীক্ষা খারাপ হয়েছে তারাই এ ধরনের দাবি করতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আরও জানান, এটা একটা পাবলিক পরীক্ষা। পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। অবরোধের মধ্যে কোনো কাজ থেমে নেই। বাস-ট্রেন সবই চলছে। এছাড়া আমাদের পরীক্ষা হয়েছে শুক্রবার। শুক্রবার কোনো হরতাল-অবরোধ ছিল না। কাজেই তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই।


সর্বশেষ সংবাদ