এবারও প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেবে বুয়েট
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০১:৫০ PM , আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০২:১৮ PM
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা শিক্ষা অধিদপ্তর নয়, বরং গত তিনটি নিয়োগের মত এবারও পরীক্ষা ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বুয়েটের মাধ্যমে আগের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, ঝুঁকিও ছিল না। এছাড়া দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হয়। তাই এবারও বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নেবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যা, জাতীয় নির্বাচনসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে হয়তো সেপ্টেম্বরে প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বুয়েটের কারিগরি সহায়তা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো। আর এ জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হতো। সেই অর্থের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আপত্তি তোলে অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অর্থ সচিবের সঙ্গে দেখা করে যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এতে জটিলতা কেটে যায়।
বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা নিলে প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি থাকে না জানিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, বুয়েটের মাধ্যমে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিয়ে নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব। পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সক্ষমতা তৈরি হলে অধিদপ্তরের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের ফেসবুক-হোয়াটস্ অ্যাপের তথ্য চায় অধিদপ্তর
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদনের শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ। প্রথম ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০টি। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়ে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮টি।
এরপর ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ ধাপে আবেদন শেষ হয় গত ৮ জুলাই। তৃতীয় ধাপে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি। সাড়ে ৭ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জানানো হয়- শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে বেশি সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের আট হাজার ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।