প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনটির নেতারা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনটির নেতারা  © টিডিসি ফটো

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল আপগ্রেডসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। 

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল এক ধাপ উন্নীত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা ও ১০ম গ্রেড বিভিন্ন জটিলতায় এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি ১৯৯৪ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকদের এবং ২০০৯ সাল থেকে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। তাই ২০১৯ সালের নিয়োগবিধি বাতিল করে নতুন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষকের পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন ৩০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদান, ২০ গ্রেড পরিবর্তন করে ১০ গ্রেড বেতন স্কেল নির্ধারণ করা, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করার জোর আবেদন জানাচ্ছি। যেহেতু দফতরি কাম প্রহরীরা সার্বক্ষণিক বিদ্যালয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে, সেহেতু তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার অনুরোধ করছি।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা, প্রধান শিক্ষকদের বকেয়া টাইম স্কেল জটিলতা নিরসন করা, নন-ভোকেশনাল ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করা, সহজ শর্তে সুদবিহীন গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান, রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, টিফিন ভাতা প্রতিদিন ন্যূনতম ২০০ টাকা দেওয়া, সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও পদোন্নতিতে বয়সের সীমা বাতিলের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো— প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল আপগ্রেড, অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের দ্রুত পদোন্নতি প্রদান, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নবম পে কমিশন গঠন, ২০ গ্রেড থেকে ১০ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন লিয়াকত আলী খান, মোয়াজ্জেম হোসেন শাহীন, জাহানারা পারভীন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. সামছুদ্দিন বাবুল, মো. আব্দুল কাদির, ইলিয়াস আল মাহমুদ, মো. হাফিজুর রহমান, মোস্তফা কামাল বাবুল, মো. নিজাম উদ্দিন, মো. দেলোয়ার হোসেন, হাসিমুল ফারুক ডলার, কামরুজ্জামান লিটন, মো. হাবিবুল্লাহ, নাসরিন জাহান, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সাইদুর রহমান আকন, মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ নেতারা।


সর্বশেষ সংবাদ