১৩শ’ শিক্ষার্থীর পাঠদান ১১ কক্ষে
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলা পরিষদের সম্মুখে শত বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয়ের রয়েছে দ্বিতল ভবন ও একতলা বিশিষ্ট ভবন। বিদ্যালয়ে প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র ১১টি শ্রেনী কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৩০-৪০জন ধারণ ক্ষমতা থাকলেও সেখানে ৬০-৭০জনের অধিক শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান করতে হয়। তাই ২শিফটে গাদাগাদি করে বসে পড়াতে হয় শিক্ষার্থীদের। শুধুমাত্র ৫ম শ্রেনীতেই রয়েছে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী। শ্রেণি কক্ষ সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও মেধার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন হচ্ছে না। বিগত বছরগুলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সংখ্যা বেশি এবং পাস শতভাগ। এছাড়াও জেলা ও বিভাগেও প্রতি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামীপন্থী বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রচারপত্রে বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধসহ ৩০টির বেশি ভুল
উপজেলা পরিষদের সম্মুখে হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি। গ্রীষ্মকালীন সময় গাদাগাদি করে বসার কারণে ভ্যাপসা পরিবেশ সৃস্টি হয়। কোমল মতি শিক্ষার্থীদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। অনেকে টিফিন ছুটিতে বাড়িতে চলে গেলে আসতে চায় না।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব জানান, শ্রেনীকক্ষ কম হওয়ার কারণে দুই শিফটে পাঠদান করাতে হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট আমরা জানিয়েছি নতুন ভবন নির্মাণে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম জানান, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।