প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং শুরু আজ

ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষিকা
ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষিকা  © ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির পাইলটিং আজ বুধবার শুরু হবে। এদিন গাজীপুরের  কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। মঙ্গলবার (২৮) জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, বুধবার সকাল ১০টায় শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রমের পাইলটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা আছে। 

তথ্যমতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম প্রায় দুই বছর ধরে স্থগিত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অনলাইনে বদলি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেজন্য গাজীপুরের একটি উপজেলায় পাইলটিং করারও সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পর্যায়ক্রমে সব জেলা-উপজেলায় এই কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও সেটি এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ঝরে পড়তে পারে ৩৩ লাখ শিক্ষার্থী

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শিক্ষক বদলির বিদ্যমান পদ্ধতির ধাপগুলো বিশ্লেষণ করে সেবা দিতে বাস্তব সমস্যা, প্রতিবন্ধকতা, ধীরগতি এবং পদ্ধতিগত শূন্যতা নির্ণয় করা হবে অনলাইন আবেদনে। শিক্ষকরা তাদের শিক্ষক পিন (ই-প্রাইমারি সিস্টেম) ব্যবহার করে ওটিপি অথেনটিকেশনের মাধ্যমে লগইন করে নিজস্ব ইউআইয়ে (ইউজার ইন্টারফেস) প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের তথ্যাদি আগে থেকেই ডাটাবেজে সংরক্ষণ থাকায় শুধু বদলির ক্ষেত্র আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ এবং অন্তঃসিটি করপোরেশন এবং বদলির কারণ সিলেক্ট করে বদলির আবেদন করা যাবে। মাসিক রিটার্ন, চাকরি বইয়ের ফটোকপি ইত্যাদি সংযুক্তির প্রয়োজন হবে না।

তবে ক্ষেত্রমতে স্বামী/স্ত্রীর কর্মস্থলের বা স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র, বদলির কারণ কিংবা প্রেক্ষাপটের আলোকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হতে পারে। বিদ্যমান বদলির নীতিমালার শর্তাবলির আলোকে এমনভাবে সফটওয়্যারে সবকিছু সেট করা হয়েছে, যেন অযাচিত কিংবা বদলির শর্ত পূরণ করে না এমন কেউ আবেদন করতে না পারেন। শূন্যপদের সব তথ্য ডাটাবেজে থাকায় শিক্ষকরা আবেদনের সময়ই বিদ্যমান সব শূন্যপদ দেখতে পাবেন এবং এক বা একাধিক বিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে পারবেন।

সঠিকভাবে আবেদন জমা দিলে আবেদনকারী আবেদনের একটি পিডিএফ কপি এবং অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাকিং নম্বরসংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড একটি রিসিপ্ট পাবেন এবং মোবাইলে নোটিফিকেশন পাবেন। তা ছাড়া শিক্ষক পিন ব্যবহার করে লগইন করে যে কোনো সময় নিজের ড্যাশবোর্ড থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন।

সফটওয়্যারে প্রতিটি ধাপে সময় নির্ধারণ করা থাকবে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদনটি অগ্রসর হতে থাকবে। আবেদনকারীর বদলির প্রেক্ষাপটের আলোকে সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কোর নির্ধারিত হবে। ফলে আবেদনকারী একাধিক হলে অগ্রাধিকার তালিকাও সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হবে।


সর্বশেষ সংবাদ