সুপারিশেই আটকে আছে ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ গঠন প্রক্রিয়া

বছর দুয়েক আগে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের সুপারিশ করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।  ২০১৬ সালের ৮নভেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকে উত্থাপন হয়, শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো ও কাজে গতি আনতে স্বতন্ত্র এই বোর্ড গঠনের বিকল্প নেই।  আর মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মোতাহার হোসেন জানান, সংসদীয় কমিটি শিক্ষার উন্নয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন এবং শিক্ষাক্রম তৈরির সুপারিশ করেছে; যা বাস্তবায়ন করা হবে।  তবে বাস্তব অবস্থা অনেকটাই ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’-এর মত। 

সে সময়ের ওই সুপারিশ নিয়ে গত দুই বছর চুলচেরা বিশ্লেষণ হলেও বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, উল্টো আরো তিন বছর সময় নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  অর্থ্যাৎ আগামী ২০২০-২১ অর্থ বছরের মধ্যে প্রাথমিকের স্বতন্ত্র ওই শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়ন করা হবে।  মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।  সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে বরাতে জানা যায়, ৫ বছর মেয়াদি পিইডিপি-৪ কর্মসূচির আওতায় আগামী ৩য় বছর অর্থ্যাৎ ২০২০-২১ অর্থ বছরের মধ্যে প্রাথমিকের স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।  এতে আরো জানানো হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের বই ছাপানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।  কমিটির সভাপতি মো. মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, আলী আজম ও মোহাম্মদ ইলিয়াছ অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ৫ বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ (পিইডিপি-৪) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে শুরু হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ