প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

পরীক্ষায় জালিয়াতি করে ‘গ্রেপ্তার হয়েও উত্তীর্ণ’ বিষয়টি সঠিক নয়: মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  © সংগৃহীত

গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার সময় জালিয়াতিরে অভিযোগ অন্তত দেড়শ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এদের মধ্যে রংপুর বিভাগে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৯ জন। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম নামে এক জন পরীক্ষার পূর্বে ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার হয়েও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২৩ (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় এবং গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা অসত্য, ভিত্তিহীন  বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট জেলায় রফিকুল ইসলাম পরীক্ষার পূর্বে ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার হওয়া সত্ত্বেও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে যুগান্তর পত্রিকার একটি পেপার কাটিং যেখানে রফিকুল ইসলাম নামে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে, যিনি রংপুর থেকে গ্রেপ্তার হন যার পিতা-মমিনুর রহমান, মাতা-নাসিমা বেগম, গ্রাম-সালন বালাগ্রাম, থান-জল ঢাকা জেলা-নীলফামারী।

সংবাদে আরও উল্লেখ রয়েছে লালমনিরহাট জেলার লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থী জনাব মো. রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) পরীক্ষার দিন সকালে ডিভাইসহ গ্রেপ্তার হন। প্রকৃতপক্ষে লালমনিরহাট জেলা থেকে নির্বাচিত মো: রফিকুল ইসলাম (৪১২৩৫৯১), পিতা মো. শামচুল হুদা, মাতা মোছা. সাহেরা খাতুন, গ্রাম-মহিসারি, পো: কাকিলা, উপজেলা- কালিগঞ্জ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন।

লালমনিরহাট জেলায় ডিভাইসসহ ১৩ জন ধরা পড়ে এবং তাদের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের তালিকায় মো: রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) এর নাম নেই এবং তিনি গ্রেপ্তারও হন নাই। এমনকি সংশ্লিষ্ট থানাসূত্র থেকে জানা যায় মো. রফিকুল ইসলাম (রোল ৪১২৩৫৯১) এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানায় কোন ফৌজদারি মামলা নেই। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ যথানিয়মে হয়েছে। যাচাই-বাছাই না করে রংপুরে গ্রেফতারকৃত মো. রফিকুল ইসলামকে (নীলফামারী জেলার) লালমনিরহাট জেলার নির্বাচিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হিসাবে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ