গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি গলায় দড়ি লাগানোর মত ব্যাপার: ইশা ছাত্র আন্দোলন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ১০:১৩ PM , আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ১০:২৫ PM
করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির চিত্র তুলে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইশা ছাত্র আন্দোলন। তারা বলছে, গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি রীতিমতো সাধারণ মানুষের গলায় দড়ি লাগানোর মত ব্যপার। বিষয়টি কর্মচ্যুত মানুষদের আরো ভাবিয়ে তুলছে।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক এম এম শোয়াইব।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল বলেন, দেশব্যপী করোনাভাইরাস যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন সরকারী আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্ব ভুলে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। ফলে করোনা চিকিৎসায় চরম অব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও গণপরিবহনে অযাচিত ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল বলেন, দেশে প্রথম শনাক্তের পর থেকেই করোনা চিকিৎসায় ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। রোগী ভর্তি ও চিকিৎসায় বিড়ম্বনা, নমুনা প্রদানে বিড়ম্বনা, রোগী ও রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অশালীন আচরণ এখন নিয়মিত অভিযোগে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে তদারকি না করে তারা এ খাতে দুর্নীতির মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গণপরিবহনে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি রীতিমতো সাধারণ মানুষের গলায় দড়ি লাগানোরই নামান্তর। যা কর্মচ্যুত মানুষগুলোকে আরো বেশি ভাবিয়ে তুলছে। জনগণের স্বার্থে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবহন মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকার কর্তৃত ভর্তুকি দেয়া হোক।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, সাবেক আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, স্কুল সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সুলাইমান দেওয়ান সাকিব ও নগর নেতৃবৃন্দ।