১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩০

তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানালেন মির্জা আব্বাস

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা আব্বাস  © সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে দেশ ও দলের হাল ধরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে কখন তিনি দেশে ফিরবেন তার দিনক্ষণ বলেননি।

আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তারেক রহমান।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের সকলের গর্ব করা উচিত যে, আমরা এমন একজন নেতা এবং নেত্রী পেয়েছি। এরপর তাদের উত্তরসূরী আমাদের নেতা তারেক রহমানের মতো মানুষের সঙ্গে আমরা রাজনীতি করতে পেরেছি এবং করছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে এসে  দেশের মানুষের হাল ধরবেন, রাজনীতির হাল ধরবেন এবং নতুন নতুন চিন্ত- চেতনার মাধ্যমে এদেশের মানুষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। 

আরও পড়ুন : এনসিপির প্রার্থী তালিকায় ১৪ নারী, কে কোন আসন থেকে লড়বেন 

খালেদা জিয়া গোটা জাতির অভিভাবক মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীর অসুস্থতার সময়ে এটা প্রমাণ হয়েছে উনি শুধু দেশনেত্রী নয়, আমাদের নেত্রী নয়, আমাদের গর্বের জায়গা বেগম খালেদা জিয়া এখন সারা বাংলাদেশের গণমানুষের আঙ্খার একজন অভিভাবক। কারণ আমার এই বয়স পর্যন্ত আমি এই পর্যন্ত দেখিনি কোনো নেত্রীর জন্য, কোনো নেতার জন্য এত দোয়া হয়েছে দেশব্যাপী। এতো দোয়া আপনারা দেখেছেন কিনা আমি জানি না কিন্তু আমি দেখি নাই। এই দোয়ার কারণে হয়তো আল্লাহ তায়ালা উনাকে আমাদের মাঝে আবার ইনশাল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এটা পরম দয়ালু আল্লাহতায়ালার কাছে আমাদের সকলের প্রার্থনা হোক।আমরাও উনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি। খুব কষ্ট লাগে, যখন মনে হয় আজকে তো উনার থাকার কথা এখানে, আমাদের নির্বাচনে কিংবা এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে। আমরা অতীতে দেখেছি, এখনও অনুভব করি। এখন পর্যন্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কথা আমাদের মনে আছে, মনে থাকবে, দেশনেত্রীর কথা আমাদের মনে আছে মনে থাকবে।
 
‘খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল’

মির্জা আব্বাস বলেন, পত্রপত্রিকায় দেখলাম উনার অবস্থা স্থিতিশীল অর্থাৎ খারাপ হয়নি। আমরা পরম দয়ালু আল্লাহতায়ালার কাছে কামনা করব,  যেন খারাপ না হয়। উনাকে (খালেদা জিয়া) আমাদের খুব প্রয়োজন। এই দেশের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই মুহূর্তে এত প্রয়োজন যে, একজন স্বীকৃত অভিভাবক বাংলাদেশের সকল দল স্বীকার করে। এমনকি আমাদের চরম শত্রু যে দলগুলো আছে আমাদের বিএনপিকে পছন্দ করে না, তারাও স্বীকার করেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের অভিভাবক।

‘ওরা শর্ত দিয়ে ঐক্য চায়’

মির্জা আব্বাস বলেন, বাচ্চা ছেলেদের একটা দল আছে, ওই দলের ছেলেদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তাদের বললাম তোমরা কি আমাদের ঐক্য যেটা, সেটাতে ইলেকশনে আসবা। কিন্তু তারা কন্ডিশনের কথা বলে। তারা কত বড় দল! তাও আবার কন্ডিশন। 

প্রশ্ন রেখে আব্বাস বলেন, আমি বুঝতেই পারলাম না যে, সংস্কার বলতে তারা কি বুঝাতে চাচ্ছে? আমি তাদের কাছে জানতে চাইলাম, সংস্কারটা কি? দেখি আমি পারি কিনা। তারা কথা বলতে পারছে না। অর্থাৎ বলার জন্য বলা, কথার জন্য কথা। সংস্কার বলছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আজকে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব, এই কারণে তিনিই এমন সব সংস্কারের কাজ করেছিলেন, যেগুলো কখনো ঘোষণা দেননি। ইতিহাস সাক্ষী দেবে,  উনি গার্মেন্টস সেক্টরকে এদেশে এনেছেন। উনার ঘোষণায় কোনো দফা ছিল। এভাবেই তিনি বিশাল বিশাল সংস্কার করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

সাত দিনব্যাপী ‘দেশ গড়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।