১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন মান্না

মাহমুদুর রহমান মান্না  © সংগৃহীত

রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনকে সামনাসামনি মোকাবিলা করতেই হবে; এটি কোনো ফান বা গেম নয় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় তিনি বলেন, একটা স্ট্যাটাস কয়েকদিন আগে দেখেছি ওই স্ট্যাটাসে তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছেন তারেক রহমান নির্বাচনের আগে আসবে না। নির্বাচনের আগে তো এখন নির্বাচনের কতটুকু আগে—নির্বাচনের আগে আসবে আসবে, না আসবে না, ওকে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পলিটিক্যালি ফেস করতে হবে ইলেকশনটা কিন্তু কোন ফান না কোন গেম না এটা পলিটিক্স এবং জিয়াউর রহমান ওইরকম একটা জায়গা অলমোস্ট ফম জিরো এখন তো হিরো পুরা দেশ পুরা পার্টি বিএনপির পেছায় চলে গেছে। জোবাইদা রহমান কি ওটা পারবেন ওইরকম অসাধারণ কিছু যদি তার মধ্যে থাকে ওইটা আমি জানি না। যেই কথাটাই ফাইনাল উনি আসলে আসবেন না যেহেতু একটু আগে কথা বললেন উনি যে স্টেটমেন্টটা দিয়েছেন সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে নয় যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।’

তিনি বলেন, ‘ডক্টর জাহিদুর রহমান একসময় আমার দলের সাথে ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক মানে মোটামুটি ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে একটা প্রভাবও বিস্তার করেছিলেন এবং তিনি বেশ কিছু ভবিষ্যৎবাড়ি টাইপের কথাবার্তা বলছে। তার একটা স্ট্যাটাস কয়েকদিন আগে দিয়েছে সেটা বলেছে তিনি বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছেন তারেক রহমান নির্বাচনের আগে আসবে না। নির্বাচনের আগে তো এখন নির্বাচনের কতটুকু আগে—নির্বাচনের আগে আসবে আসবে, না আসবে না, ওকে।’

মান্না বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি সাংবাদিকদের কাউকে কাউকে কথা বলতে দেখলাম যে এই কথাটাই ফাইনাল উনি আসলে আসবেন না যেহেতু একটু আগে কথা বললেন। উনি যে স্টেটমেন্টটা দিয়েছেন সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে নয় যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। মানে কথাটা তার কিন্তু এতদিনকার তাকে আমরা যেভাবে চিনেছি লোকজন তার রাজনীতিতে দলের উপর যে প্রভাব জানে কে আর নিয়ন্ত্রণে আছে। তার আসা যাওয়ার ব্যাপারে কেউ এ ব্যাপারে কোন স্পষ্ট ধারণা রেখে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আবার বলেছেন সংগত তিনি সবকিছু এখন বলতেও পারবেন না সেটা তো আরো মিস্টিরিয়াস ব্যাপার হলো। ধরেন যদি কোন ষড়যন্ত্র করে তাকে আটকে রাখি তাহলে তার বলবার কথা এই ষড়যন্ত্র চলছে। যেমন শেখ হাসিনা যখন আসতে দিচ্ছিল তখন বলেছিলেন তো। এটা মিলে মানে উনি আসবেন বা আসবেন না এটা কেউই বলতে পারবে না উনি ছাড়া।’

আরও পড়ুন: ৩ শর্তে জাতীয় সরকার গঠন করতে চায় জামায়াত

ডা. জুবায়দা রহমানকে সামনে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবং এই পরিস্থিতিটা একটা সামগ্রিক অনিশ্চয়তার জায়গায় রেখে কিন্তু ডাক্তার জুবায়দা রহমান কিন্তু দেশে এসেছেন এবং আপনার কি মনে হয় যে তার অনুপস্থিতিতে হয়তো হয়তো ডাক্তার জুবায়দুর রহমান ফেসটা হতে পারেন নেতৃত্বে—অলিক কল্পনা করলে তো কোন লাভ নেই। এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি যাচ্ছে না। আপনি কিন্তু সমস্যাটা ইলেকশনটা সামনে রেখে কথা বলছেন যে পরিস্থিতি বিএনপির মধ্যে চলছে যে জায়গাগুলো নিউজ আসে সেটা একটা বাকি বহু জায়গাতে মানব বন্ধন তৈরি হয়েছে মিছিল হচ্ছে মশাল মিছিল হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যে প্রার্থী বিএনপি তার বিরুদ্ধে তারেক রহমান ওখান থেকে সরাসরি হ্যান্ডেল করেছেন এতদিন। এখনো হয়তো করে কন্ট্রোল তো হয়নি। তারা বলেছিলেন যে ওই ৩৭ বক্তাগুলো বদলে দেবেন সব জায়গাতে যেহেতু ঝামেলা একটাও টাচ করতে পারেন নাই। জুবায়দা রহমান হাত দিতে পারবেন এটা ভাবলেই তো হলো না। উনি চেনেননি না কাউকে। উনি কি মনে করবেন এ না এ হতে পারে—তার তো এটা তার নলেজ নাই।’

ক্যাম্পেইন প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘না এই জায়গায় হাত না দিলেও ধরেন ক্যাম্পেইনের জায়গায় বা ফেস হওয়ার জায়গায় ক্যাম্পেইন কার জন্য করবেন? আপনার যদি তিনশ’র মধ্যে ৩০/৪০ টার জায়গায় আপনি কথা বলতে না পারেন ঠিকমত অন্য জায়গাতে তো আন্সার দিতে হবে। পলিটিক্যালি ফেস করতে হবে ইলেকশনটা কিন্তু কোন ফান না কোন গেম না এটা পলিটিক্স।’

তারেক রহমানের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনার কি মনে হয় যে তারেক রহমানের অনুপস্থিতি ইতুমধ্যে নির্বাচন একটা প্রভাব ফেলেছে যে তিনি যে সশরীরে বাংলাদেশে নেই—অবশ্যই অবশ্যই। সেজন্যই বলছি যে নিশ্চয়ই একটা ধরনের নরমাল পরিস্থিতিতে জুবায়দা রহমান যে যে প্রভাবটা রাখতে পারতেন ওইটা এখনো রাখতে পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি প্রশ্ন করতে পারেন জিয়াউর রহমান যখন এলেন কি বা এরশাদ যখন এলেন তখন ওরাই দেশ কি চিনতেন? তারা পুরা দেশ তো কন্ট্রোল করে ফেললো এবং জিয়াউর রহমান ওইরকম একটা জায়গায় অলমোস্ট ফ্রম জিরো এখন তো হিরো পুরা দেশ পুরা পার্টি বিএনপির পেছনে চলে গেছে। জুবাইদুর রহমান কি ওটা পারবেন? ওইরকম অসাধারণ কিছু যদি তার মধ্যে থাকে ওইটা আমি জানি না।’

তিনি শেষ করেন এভাবে, ‘কাজে ওইটুকু জানিনা স্বীকার করে আমি বলছি বাকি এভারেজ ক্ষেত্রে যদি বলেন তাহলে ওনাকে নিয়ে এত বেশি স্পেকুলেশন না করাই ভালো। আর বিএনপি যদি এক্সপেক্ট করে তাহলে তারা একটা আবার চোরাগুলির মধ্যে পা দিয়ে ফেলতে পারে। উনি থেকে নিশ্চয়ই প্রভাব রাখতে পারবেন সেটা পজিটিভ রাখবেন। উনার যে ইমেজ এখন পর্যন্ত ফর নাথিং হয়েছে বিকজ ওয়াইফ অফ তারেক রহমান—যে ইমেজ আছে সেটা একটা পজিটিভ ইমপ্যাক্ট করবে বিএনপির ইলেক্টরেটের মধ্যে। কিন্তু অর্গানাইজেশন কিছু করার মত জায়গায় আমি তাকে দেখি না। ভোট নিয়ে কথা হল একটু জোটের।’